মামলা করে বিপাকে পড়েছেন হ্নীলার ইউনিয়নের লেদা পশ্চিম পাড়া এলাকার মৃত হায়দার আলীর ছেলে জামাল হোসেনের পরিবার। আসামীদের নিয়মিত হুমকীতে ঘরছাড়া হয়ে পথে পথে ঘুরছেন তারা। সচেতন মহল মনে করছেন এই যদি হয় মামলার বাদীর অবস্থা তাহলে ন্যায় বিচারের আশা করবে কারা।
জানা যায়, হ্নীলা ৮নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পাড়ার বাক প্রতিবন্ধি আলী মিয়া ওরপে বুইগ্যা আলী ও তার স্ত্রী সাকেরা নিয়মিত ভিক্ষা করেই চলে। এমনকি তাদের মেয়ে (ভিকটিম) নিজেও ভিক্ষা বৃত্তির সাথে জড়িত। গত ১৩ অক্টোবর আলী মিয়া ও সাকেরার মেয়ে (ভিকটিম) সকাল ১০টার দিকে ভিক্ষাভিত্তি শেষে ঘরে ফিরছিল। এরই মাঝে একই এলাকার এজাহার মিয়ার ছেলে মফিজ আলম ওরফে নয়ন ও বেলা কাদেরের ছেলে জুহুর আলম ভিকটিমকে জোর করে ধরে বাগানে নিয়ে যায় এবং জুহুল আলমের সহযোগিতায় মফিজ ধর্ষণ করে। এতে ভিকটিমের আর্ত চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় মহিলা মেম্বার মর্জিনা আকতারের সহয়োগিতায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান এবং পরে জেলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন। ওখান থেকে ওয়ান ষ্টপ ক্রাইসিস সেল (ওসিসি), জেলা সদর হাসপাতালের সহযোগিতায় ভিকটিমের নানাকে বাদী করে টেকনাফ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করে। বর্তমানে ওই মামলায় মফিজ আলম ওরফে নয়ন কারাগারে রয়েছে। এদিকে মামলার অপর আসামী জুহুর আলম এর নেতৃত্বে তার ভাই আবুল কালাম, মো: নুর, নুরুল ইসলাম রাত দিন মামলার বাদীকে হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। তারা এমনও ভয় দেখাচ্ছেন ৫লাখ টাকা খরচ করে হলেও তারা মামলা থেকে অব্যহতি নিবেন। এরপর দেখানো হবে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করানোর খেলা। উক্ত মামলার তদন্ত ও করেছেন গত ২৯ অক্টোবর। এদিকে অসহায় ভিকটিমের পরিবার কিংবা মামলার বাদী প্রভাবশালী না হওয়ায় আতংকের মধ্যে রয়েছে। কারণ আসামীরা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তারা সমাজের কোন ধরণের নিয়ম কানুন মানেনা। বাদী পক্ষ মনে করছেন যে কোন সময় তাদের উপর হামলা করতে পারে আসামী পক্ষ। এব্যাপারে আসামী পক্ষ প্রশাসনের সহয়োগিতা কামনা করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।