১০ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

হারিছ চৌধুরী কোথায়

চারদলীয় জোট সরকারের আমলে আলোচিত-সমালোচিত ব্যক্তি ছিলেন আবুল হারিছ চৌধুরী। দোর্দণ্ড প্রতাপশালী এই রাজনীতিবিদ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব এবং আলোচিত হাওয়া ভবনের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে অসীম ক্ষমতাধর এক নেতায় পরিণত হয়েছিলেন। কিন্তু চারদলীয় জোট সরকারের পতনঘণ্টা বাজার পর উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সেনা সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসায় পতিত হাওয়া ভবন ছেড়ে নিজেই হাওয়া হয়ে যান হারিছ চৌধুরী। ২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি সিলেট বিএনপির অন্যতম প্রভাবশালী এই নেতা সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে তার মামাবাড়ি করিমগঞ্জে পাড়ি জমান। এরপর ভারত থেকে যুক্তরাজ্য ও ইরানে কিছু দিন অবস্থান করার পর মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র হয়ে ফের যুক্তরাজ্যে ফিরে যান। এরকম তথ্যই পাওয়া গিয়েছিল তার স্বজনদের কাছ থেকে। কিন্তু বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন সে খবর জানে না কেউই। এমনকি সিলেটে থাকা তার স্বজনরাও বলতে পারছেন না হারিছ চৌধুরী কোথায় আছেন। গত ১০ মার্চ বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সালাহউদ্দিন ‘নিখোঁজ’ হওয়ার পর গত মঙ্গলবার ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে তার খোঁজ মিলেছে। এরপর থেকে হারিছ চৌধুরীর উধাও রহস্য ফের আলোচনায় এসেছে। সূত্র জানায়, ভারত থেকে যুক্তরাজ্য, পরবর্তীতে ইরান থেকে মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র হয়ে সর্বশেষ যুক্তরাজ্যে যাওয়ার পর হারিছ চৌধুরী ভারত ছাড়া অন্য কোথাও গমন করেননি। ভারতের করিমগঞ্জে হারিছ চৌধুরীর মামাবাড়ি হওয়ায় এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিদের আনাগোনা বেশি থাকায় তিনি করিমগঞ্জেই বেশি সময় অবস্থান করেন। যুক্তরাজ্য থেকে করিমগঞ্জ এবং করিমগঞ্জ থেকে যুক্তরাজ্যে আসা-যাওয়া করেই এখন দিন কাটছে তার। তার মামাবাড়ির লোকজন করিমগঞ্জের প্রভাবশালী মুসলিম পরিবার হওয়ায় সেখানে গা-ঢাকা দিয়ে থাকাটা হারিছ চৌধুরীর জন্য অনেকটাই সহজ। ভারতের করিমগঞ্জে অবস্থানকালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা-কর্মী এবং নিজের আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাক্সক্ষীদের সঙ্গে হারিছ চৌধুরী যোগাযোগ রাখেন বলেও জানায় সূত্রটি। দেশজুড়ে জোর গুঞ্জন রয়েছে, সালাহউদ্দিন সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন। আর জকিগঞ্জ সীমান্তের ওপারেই ভারতের করিমগঞ্জের অবস্থান। যে কারণে হারিছ চৌধুরী এবং সালাহউদ্দিনের মধ্যে কোনো যোগসূত্র রয়েছে কিনা, এ বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। সালাহউদ্দিন করিমগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে গিয়ে থাকলে করিমগঞ্জে হারিছ চৌধুরীর সঙ্গে তার দেখা হয়েছে কিনা এ বিষয়টি নিয়েও রয়েছে জোর গুঞ্জন। তবে সালাহউদ্দিনকে যেখানে পাওয়া গেছে, জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে করিমগঞ্জ হয়ে সেই শিলং প্রায় ২৩০ কিলোমিটার দূরে। অন্যদিকে সিলেটের তামাবিল সীমান্ত থেকে শিলংয়ের দূরত্ব মাত্র ৬৫ কিলোমিটার।

কোথায় আছেন হারিছ চৌধুরী : ভারতের করিমগঞ্জ হয়ে যুক্তরাজ্য, সেখান থেকে ইরান ঘুরে মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র হয়ে ফের যুক্তরাজ্য যান হারিছ চৌধুরী। কিন্তু বর্তমানে কোথায় আছেন তিনি? এ বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কেউ কিছু না বললেও তিনি তার নানাবাড়ি করিমগঞ্জেই অবস্থান করছেন বলে জানায় একটি সূত্র। বর্তমানে হারিছ চৌধুরী দাড়ি রেখেছেন এবং তার শারীরিক গঠন অনেকটাই বদলে যাওয়ায় তিনি নির্বিঘ্নে সেখানে অবস্থান করছেন বলে জানায় সূত্রটি। তবে দেশে থাকা আত্মীয়স্বজনকে নিজের অবস্থান সম্পর্কে কিছুই জানান না হারিছ চৌধুরী।পালিয়ে যান যেভাবে : চারদলীয় জোট সরকারের মেয়াদ শেষে পতন ঘটে হাওয়া ভবনের। রাজনীতিও হয়ে পড়ে ঘোলাটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতাসীন হয়ে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে শুরু করে অ্যাকশন। দুদকের শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের তালিকায় নাম ওঠে হারিছ চৌধুরীর। বাধ্য হয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। কিছু দিন হবিগঞ্জে আত্মগোপনে থাকার পর সিলেট আসেন। ২০০৭ সালের ২৯ জানুয়ারি সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে তার নানাবাড়ি ভারতের করিমগঞ্জে চলে যান হারিছ চৌধুরী। এর কিছু দিন পর তার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও বস্তাভর্তি টাকা পাঠানো হয় তার কাছে। সেখান থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান তিনি। তারপর বড় ভাই আবদুল মুকিত চৌধুরীর কাছে ইরানে চলে যান। পরে মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে ফের ফিরে যান যুক্তরাজ্যে। এখন কোথায় তিনি। এ কথা জানে না তার আত্মীয়স্বজন। সেই ২০০৭ সাল থেকে আট বছর তিনি নিজেকে লোকচক্ষু থেকে লুকিয়ে রেখেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।