২১ অক্টোবর, ২০২৫ | ৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৮ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

হঠাৎ বিদ্যালয়ে ঢুকে ক্লাস নিলেন ইউএনও!

হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী: ঘড়ির কাঁটায় দুপুর ১টা ১৫ মিনিট। অর্ধছুটির ঘন্টা বাজতে ৩০ মিনিট বাকি। এমন সময় হঠাৎ বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পড়েন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.শাহজাহান আলি। পাঠদান সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুরু করেন আলোচনা। এক পর্যায়ে কয়েকটি বিষয়ের ক্লাস নেন তিনি। জানতে চান শিশুদের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা। এতে হতবাক হয়ে যান বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা করতালি দিয়ে ইউএনওকে বিদায় জানান। গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজারের রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের ১ নং গর্জনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই দৃশ্য সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার সকালে রামুর গর্জনিয়া উচ্চবিদ্যালয় জেএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ইউএনও মো,শাহজাহান আলি ১ নং গর্জনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। পরে পঞ্চম শ্রেণিতে ঢুকে শিক্ষার্থীদের বাংলা ও ইংরেজী ক্লাস নেন। কোমলমতি এসব শিশুদের উচ্চশিক্ষিত হওয়ার পরামর্শ দেন। ক্লাসের এক নম্বর শিক্ষার্থী ফারিয়া সালমীম ইউএনওকে বলেন, ‘স্যার আমি বড় হয়ে একজন শিক্ষক হব।’ দুই নম্বর শিক্ষর্থী সাবরিনা সুলতানাও জানালেন আদর্শ শিক্ষক হতে তার প্রবল ইচ্ছে। তবে আরেক শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরীন বললেন, সে বড় হয়ে একজন ভাল চিকিৎসক হবেন।

এসময় রামু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা বেগম, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নাছির উদ্দিন সিকদার সোহেল, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শফিউল আলম, পরিচালনা পর্ষদের সদস্য জয়নাল আবেদীন টুক্কু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি নাছির উদ্দিন সিকদার সোহেল বলেন, ‘তদারকির পাশাপাশি ইউএনও স্যারের ক্লাস নেয়ার বিষয়টি শিক্ষার্থীসহ আমাদের কাছেও খুব ভালো লেগেছে। এ ধরনের ব্যতিক্রম বিষয়টিকে আমরা স্বাগত জানাই। এছাড়া আগামীতেও তিনি এই বিদ্যালয়ে ক্লাস নেবেন বলে আমাদের আশ^স্ত করেন।’ এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, অফিসের কাজ সেরে সুযোগ হলে আমি রামুর অন্য বিদ্যালয়গুলোতেও ক্লাস নেব।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।