১৮ জুন, ২০২৫ | ৪ আষাঢ়, ১৪৩২ | ২১ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

‘একযোগে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি’

স্বদেশ ফিরতে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সমাবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে একজোট হয়ে সমাবেশ করেছে উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গারা। এবার রোহিঙ্গাদের নেতৃত্ব এগিয়ে এসেছে যুবকরা। সমাবেশ থেকে জাতিসংঘের সংস্থাসমূহকে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করে দ্রæত স্বদেশ ফেরত পাঠানোর দাবি জানানো হয়। না হয় একযোগে মিয়ানমারে ফিরে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রাখাইনে চলমান সংঘাতে যেখানে থাকা রোহিঙ্গাদের ধর্য্য ধরার আহবান জানিয়েছে কোনভাবেই স্বদেশ ছেড়ে পালিয়ে না আসার অনুরোধ জানানো হয়।

শুক্রবার (০২ ফেব্রæয়ারি) সকাল ৯টা দিকে উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে জড়ো হয় রোহিঙ্গারা। সবার গায়ে সাদা শার্ট ও লুঙ্গি পরিহিত।

আয়োজকরা জানিয়েছে, উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্প থেকে আসে রোহিঙ্গাদের হেড মাঝি, সাব মাঝি, ধর্মীয় নেতা ও নারীরা এ সমাবেশ অংশ নিয়েছেন।

যেখানে একযোগে রোহিঙ্গাদের ‘অনেক হয়েছে আর নয়, এবার স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরতে চানঅ’ বলে শ্লোগান দিতে শুনা গেছে।

ক্যাম্প ১৩ এর বাসিন্দা ছলিম উল্লাহ বলেন, আমাদের দেশ আছে। মিয়ানমারের আরকান আমাদের দেশ। আমরা দেশে ফিরে যেতে চাই।

সমাবেশে আসা ক্যাম্প ২৬ এর বাসিন্দা মো. হাবিব বলেন, এক বছর-দুই বছর করে ৭ বছর পার করছি পরদেশে। এখানে আর থাকতে চাই না, নিজেদের অধিকার নিয়ে স্বদেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই।

রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরওএফডিএমএনআরসি’র সংগঠক সৈয়দ উল্লাহ বলেন, মিয়ানমারের আরকানে আমাদের যারা আত্মীয়-স্বজন, মা-বাবা ও ভাই-বোন আছে। তাদের ওপর অনেক নির্যাতন হচ্ছে। তাদের প্রতি আহ্বান থাকবে, তারা যেন কোনদিনও দেশ ছেড়ে চলে না আসে।

আর সমাবেশ থেকে জাতিসংঘের সংস্থাসমূহকে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করে উদ্যোগ গ্রহণ না করলে একযোগে মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরওএফডিএমএনআরসি’র প্রতিষ্ঠাতা মো. কামাল হোসাইন বলেন, ‘সমাবেশে মা-বাবা, ভাই-বোন যারা এসেছেন, তাদের অধিকার যদি যুবকরা কাঁদে নেয় তাহলে ১ বছরের মধ্যে ইনশাআল্লাহ আমাদের দেশে আমরা ফিরে যেতে পারব।

৩ ঘন্টার সমাবেশ শেষে মোনাজাতে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় বাংলাদেশের প্রতি শুকরিয়া জানায় রোহিঙ্গারা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।