২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১১ আশ্বিন, ১৪৩২ | ৩ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

সিএইচসিপিদের টানা অবস্থান কর্মসূচিতে কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ: রোগীদের দূর্ভোগ

বিশেষ প্রতিবেদকঃ চাকুরি জাতীয়করনের দাবিতে তিনদিন ব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেছে কক্সবাজারে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত সিএইচসিপিগণ। সিএইচসিপি’দের এ অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে জেলার ১৮৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকে। ফলে প্রান্তিক জনপদের অসংখ্য রোগী শীতকালীন নানা রোগ নিয়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে এসে চিকিৎসা না পেয়ে দূর্ভোগের শিকার হয়েছেন।

বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন জেলার সদর, রামু, উখিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী, পেকুয়া, কুতুবদিয়া ও চকরিয়া উপজেলা শাখার আয়োজনে শনিবার সকাল ৯টা থেকে স্ব স্ব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়ে চলে বিকেল ৩টা পর্যন্ত। রবি ও সোমবারও উপজেলা পর্যায়ে এ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের কক্সবাজার জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও রামু উপজেলা শাখার সভাপতি এসএম রেজাউল করিম।

রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন রামু উপজেলার ২৭টি কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৫ জন সিএইচসিপি (কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার)।
‘শেখ হাসিনার অবদান, কমিউনিটি ক্লিনিক বাঁচায় প্রাণ’-এ শ্লোগানে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সংক্ষিপ্ত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের রামু উপজেলা শাখার সভাপতি এসএম রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন কান্তি দাশসহ সিএইচসিপি নেতৃবৃন্দ।

সভায় সিএইচসিপি নেতৃবৃন্দ বলেন, কক্সবাজার জেলায় ১৮৩ কমিউনিটি ক্লিনিকে বর্তমানে ১৭২ জন কর্মরত রয়েছে। চাকরি জাতীয়করণ করা না হলে সবার ভবিষ্যত অন্ধকার। সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দিতে গিয়ে নিজেদের স্বপ্ন জলাঞ্জলি দিয়েছেন। ভবিষ্যত জাতীয় করণের আশায় তারা বিগত অর্ধযুগেরও বেশি সময় যত সামান্য ভাতায় এখানে শ্রম দিচ্ছেন। তাদের কারণে সরকার প্রান্তিক জনগোষ্টীর মাঝে স্বাস্থ্যসেবা পৌছে দেয়ার কথা স্বগৌরবে বলতে পারছেন।

তারা আরো বলেন, ২০১১ সালে কমিউনিটি ক্লিনিকে দেশের ১৪ হাজার সিএইচসিপি নিয়োগ পায়। এরমধ্যে প্রায় ৪ হাজার ৫০০ জন সিএইচসিপি মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানও রয়েছে। সিএইচসিপিগণে চাকরি স্থায়ীকরণের এক স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল। তাই কেউ অন্য পেশায় যাবার চেষ্টা করেনি। কিন্তু এখন অধিকাংশের সরকারি চাকুরিতে ঢুকার বয়স শেষ হয়েগেছে। তাই চাকুরি জাতীয় করণের দাবিতে সিএইচসিপিরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে নির্দেশনা দিয়ে রায় দিলেও এখনো সরকার তা বাস্তবায়ন করেনি। এ অবস্থায় সিএইচসিপিরা অবিলম্বে হাইকোর্টের রায় বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানান। দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে আগামীতে বৃহত্তর কর্মসূচি পালন করা হবে ঘোষণা দেয়া হয়।

কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুস সালাম সিএইচসিপি’দের অবস্থান কর্মসূচি পালনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কর্মসূচি চললেও বিশেষ ব্যবস্থায় কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো সচল ছিলো।

কিন্তু ক্লিনিকে আসা অনেক রোগি জানান, তাদের এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকায় তারা সেবা না পেয়ে চলে যাচ্ছেন। এসময় তাদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সংগঠনের উখিয়া উপজেলার নেতৃবৃন্দ কর্মসূচী চলাকালে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মিছবাহ উদ্দিনের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।

উপজেলা পর্যায় শেষ করে ২৩ জানুয়ারী সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সিভিল সার্জন অফিস প্রাঙ্গন এবং ২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারী ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে সিএইচসিপি সদস্যরা। সংবিধানের ২২ (খ) ধারা বাতিলের দাবিতে সিএইচসিপিদের এ আন্দোলন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।