২৫ অক্টোবর, ২০২৫ | ৯ কার্তিক, ১৪৩২ | ২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

সামাজিক বনায়নে ভাগ্য বদল ১৬৮ জন উপকারভোগীর

#দুই বিটে  উপকারভোগী ১৬৮জন
#দুই বিটে বনায়ন ৮৪ হেক্টর
# বিক্রয়কোটি ৮৮ লক্ষ ৬৪হাজার টাকা
# উপকারভোগী পাবে কোটি ৭৪ লক্ষ ৮৮ হাজার৮৫ টাকা

বিশেষ প্রতিবেদক:

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের ধোয়াপালং রেঞ্জের অধীনস্থ দুইটি বন বিট এলাকায় সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীরা পাচ্ছে কোটি টাকা। ১৬৮ জন উপকারভোগীদের মাঝে ১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বিতরণ করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসাইন।
তিনি জানান, ধোয়াপালং রেঞ্জের অধিনে ধোয়াপালং ও খুনিয়াপালং বন বিটে ১৬৮জন সামাজিক বনায়নের উপকারভোগীদের মাঝে ১ কোটি ৭৪লক্ষ ৮৮ হাজার ৮৫ টাকা বিতরণ করা শুরু করেছে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগ। মঙ্গলবার আনুষ্টানিকভাবে চারজনের হাতে চেক প্রদান করে এই টাকা বিতরণ কার্যক্রম শুরু করে। পর্যায়ক্রমে তালিকাভুক্ত সামাজিক বনায়নের সুফলভোগীদের ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা হয়ে যাবে।
সূত্রে মতে, ২০০৭-২০০৮ সালের সৃজিত সামাজিক বনায়নের ধোয়াপালং বিটে ৪৯ হেক্টর ও খুনিয়া পালং বিটে ৩৫ হেক্টর বাগানের উপকারভোগীরা ওই টাকা পাবে।

ধোয়াপাালং রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসাইন ও বিট কর্মকর্তা বিকাশ দাশ জানান, ধোয়াপালং বিটের ৪৯ হেক্টর সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী মোট ৯৮ জন । বাগানটি বিক্রয় মুল্য ১ কোটি ৫০ লক্ষ ৮৪হাজার ৩শত ২০ টাকা। সেখান থেকে বন অধিদপ্তরের অংশ বন রাজস্ব হিসাবে জমা করা হয়েছে ৪৫% বা ৬৭ লক্ষ ৮৭ হাজার ৯শত ৪৪ টাকা। বাকি ৪৫% হিসাবে প্রতিজন উপকারভোগী এই বাগান থেকে টাকা পাবেন ৬৭ হাজার ২শত ৬৪ টাকা করে। এই বাগান থেকে ট্রি ফামিং ফান্ড হিসাবে জমা করা হয়েছে ১০% বা ১৫ লক্ষ ৮ হাজার ৪শত ৩২ টাকা ।
তিনি আরও জানান, খুনিয়াপালং বিটে ৩৫ হেক্টর সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী  মোট৭০ জন। এই বাগানটি বিক্রয় করা হয়েছে ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৮০ হাজার ৯২ টাকায় । এখান থেকে বন রাজস্ব আদায় করা হয়েছে ৪৫% হিসাবে ১ কোটি ৭লক্ষ ১হাজার ৪১ টাকা । ওই বাগান থেকে উপকারভোগী তাদের ৪৫% অংশ হিসাবে প্রতিজন পাবে ১লক্ষ ৫২ হাজার ৮ শত ৩২ টাকা। এই বাগান থেকে ট্রি ফামিং ফান্ড হিসাবে জমা করা হয়েছে ১০% বা ২৩ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬টাকা।

খুনিয়াপালং বনবিটের সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী আনোয়ার হোসাইন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ধোয়াপালং রেঞ্জ কর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তার আন্তরিক প্রচেষ্টায় মঙ্গলবার  লভ্যাংশের  ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৮৭২ টাকার  চেক পেয়েছি। ওই টাকা দিয়ে সংসারের অনেক সমস্যা দূর হবে।

কক্সবাজার দক্ষিণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.সারওয়ার আলম জানান, কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের অধিনে রামু উপজেলার ধোয়াপালং রেঞ্জের ধোয়াপালং বিট ও খুনিয়াপালং বিট মিলে ১৬৮ জন উপকারভোগীদের এই  অর্থ প্রদান করা হবে।


সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে ২০১৩ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের সুফলভোগী হয়েছে ১হাজার ৪শত ২০জন। তারাও আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে ১৩ কোটি ৯৩লক্ষ ৫৭ হাজার ৬ শত ৯৮টাকা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।