একইভাবে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের ৬০হাজার নেতাকর্মী আমরাও একটি পরিবারের মতোই। সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে আমরা যেকোন বাধা অতিক্রম করতে প্রস্তুত।
সারাদেশে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ একটি মডেল ছাত্র সংগঠন। পত্রিকায় ছাত্রলীগের নেতিবাচক সংবাদকে পেছনে পেলে ছাত্রলীগের ঐতিহ্য ধরে রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে ‘কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ’ বহুবার দেশ-বিদেশে প্রশংসায় ভেসেছে।
টানা ৭মাস রোহিঙ্গাদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা দিয়ে মানবতার যেই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কক্সবাজার ছাত্রলীগ দেখিয়েছে তা বিশ্বের আর কোন ছাত্র সংগঠনের নেই ৷
কক্সবাজারে কোরবানির বজ্র যখন রাস্তায় পড়ে ছিলো এই সংগঠনের নেতাকর্মীরা তা নিজ হাতে পরিষ্কার করে দেশপ্রেমের নজীর সৃষ্টি করেছে। পর্যটকদের নিরাপদ রাত্রীযাপনের ব্যবস্থা করে কক্সবাজার ছাত্রলীগ প্রমাণ করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মানবিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বহুদূর এগিয়েছে…
কখনো টেলিভিশনের টকশোতে আবার কখনো পত্রিকায় শিরোনাম দেখি একজন ছাত্রনেতা ইয়াবার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছে। ইয়াবার শেখড় উৎপাটন করতে কতো প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে কথা বলতে শুনা যায় কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়কে।
বহু আগে যখন সারাদেশে জঙ্গীবাদ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে ইশতিয়াকের নেতৃত্বে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত পরিষ্কার করে হাজার হাজার নেতাকর্মী শপথ নিয়েছিলো দেশকে ভালোবেসে দেশের জন্যে লড়ার।
বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে ছোট্ট শিশুদের কাছে ছড়িয়ে দিতে এই ইশতিয়াক আয়োজন করেছিলো ০৭ই মার্চের ভাষণ প্রতিযেগিতা।
সেদিন দৈনিক কালের কণ্ঠে শিরোনাম ছিলো ‘এ এক অন্যরকম ছাত্রলীগ’।
আসলেই কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগ পুরোটাই ভিন্নরকম। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদকেরা তৃণমূলকে প্রধান্য দিয়ে ইউনিয়ন কমিটি করতে গিয়ে স্থানীয় নেতাদের চক্ষুশূল হয়। কতো ষড়যন্ত্র আর সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনীতি করতে হয় তা আমরাই জানি ৷ এরপরেও দিনশেষে বলা হয় ছাত্রলীগ খারাপ ৷
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট করতে গিয়ে ফেরার সময় আটক করে রাখা হয় ছাত্রলীগ সভাপতি ইশতিয়াক ও সাধারণ সম্পাদক তানিমকে ৷ বহু ষড়যন্ত্রের পর পুরো জেলায় ছাত্রলীগ আন্দোলনে নামলে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় বিজিবি। আজ সেইদিনের ছবি নিয়েও অপপ্রচার করা হচ্ছে।
ছাত্রলীগে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে এই প্রতিযোগীতায় নোংরা মাধ্যমে জেতার জন্যে অনেকেই চেষ্টা করেছে বহুবার। তারা ধ্বংস হয়েছে হারিয়ে গেছে এই জনপদ থেকে।
ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই ৷
আগে নিজের সংগঠনটাকে ভালোবাসুন৷ সংগঠনের নামে কুৎসা রটিয়ে এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিতে চাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা কখনো পূরণ হবেনা। সংগঠনের উচ্চতা যতো বেশি হবে নেতার ব্যপ্তিও ততো বেড়ে যাবে। ভুলে গেলে চলবে না ছাত্রলীগ কখনো এতিম কখনো আবার দাবানল ছড়াতেও পারে…
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যেমন আজগবি তথ্য দিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয় একইভাবে ছাত্রলীগ নিয়েও লীলাখেলায় মেতেছে একটি টাউট চক্র। এই চক্রটি স্রোতের বানে দ্রুত হারিয়ে যাবে। সাদাকে সাদা বলুন, কালোকে কালো বলুন…!!
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু…
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।