১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৮ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৯ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ

সাগরপাড়ে প্রকৃতির ছোঁয়া পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর চোখেমুখে খুশির ঝিলিক


সমুদ্রের বিশালতা মানুষকে মুগ্ধ করে, কাছে টানে। আর দশটা সাধারণ মানুষের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও উচ্ছ্বাস-আনন্দে সমুদ্রদর্শন করেন। ঝিনুকফোটা সাগরবেলায় তিনি অনেকটা সময় খালি পায়ে হাঁটেন। মন ভেজান সমুদ্রের ঢেউয়ের তালে।
খালি পায়ে হাঁটছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাগর জলে পা বাড়ালেন। সাগরের নোনা জল ঢেউয়ের পর ঢেউ ছড়িয়ে ভিজিয়ে দিচ্ছে তার পা। খোলা হাওয়ায় মন হারিয়ে যাওয়ার অবকাশ হয়তো নেই, পেছনেই নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত কর্মীরা। তাও সব ভুলে সমুদ্রের বিশালতায় যেন কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে গেলেন তিনি। গতকাল শনিবার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের ইনানী বিচে হেঁটে সবাইকে চমকে দিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকলে-চাইলেও সাধারণ পর্যটকের মতো ঘুরে বেড়ানো যায় না। ঘড়ি বাঁধা জীবনে অসম্ভব ব্যস্ততা থাকে শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের। কিন্তু পাহাড়, নদী কিংবা সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে মন চায় তাঁদেরও। কাজের সূত্রে সাগর পাড়ে আসায় খানিকটা সময়ের জন্য সাগরে নেমে সেই সুযোগটি নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জনবহুল ঢাকায় যান্ত্রিক জীবনযাপন করতে হয় শেখ হাসিনাকে। তাই কক্সবাজারে কোলাহলমুক্ত ও নির্মল প্রকৃতির ছোঁয়া পেয়ে তার চোখেমুখে ছিল খুশির ঝিলিক। সৈকতে সময় কাটিয়ে তিনি মুগ্ধ দৃষ্টিতে দেখছিলেন সমুদ্রের ঢেউগুলোর অপূর্ব মিতালী। বিশাল জলরাশির সামনে সৈকতের নয়নাভিরাম দৃশ্য বেশ কিছুক্ষণ উপভোগ করেন তিনি।
এমনিতে সাধারণ পর্যটকদের আনাগোনায় বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার মুখর হয়ে থাকে প্রতিদিন। তবে গতকাল ছিল ভিন্ন চিত্র। এদিন প্রধানমন্ত্রীর আগমন নতুন আবহ তৈরি করে এখানে। সমুদ্র সৈকতে পায়চারির সময় তার চোখেমুখে ছিল অন্যরকম আনন্দ-উচ্ছ্বাস। সাগরপাড়ে শেখ হাসিনার খালি পায়ে হেঁটে বেড়ানোর দৃশ্য অভূতপূর্ব লেগেছে অনেকের কাছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে বোয়িং উড়োজাহাজ মেঘদূতে করে কক্সবাজারে আসেন। এরপর কক্সবাজার-টেকনাফ ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করে ইনানী সৈকতে পৌঁছান। পর্যটন শহর কক্সবাজার গিয়ে সাগরপাড়ে হেঁটে বেড়ানোর সুযোগ হাতছাড়া করলেন না প্রধানমন্ত্রী। আনুষ্ঠানিকতা সেরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি সৈকতে যান। এক ফাঁকে রৌদ্রস্নানের চেয়ারে কিছুক্ষণ বসে সমুদ্র পানে তাকিয়েছিলেন তিনি। হয়তো তার মনে বেজেছিল, ‘ঐ প্রঝিনুক ফোটা সাগর বেলায়, আমার ইচ্ছে করে, আমি মন ভেজাবো ঢেউয়ের মেলায়’। বে ওয়াচ রিসোর্টেই মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন তিনি।
বে ওয়াচ রিসোট্রের সামনে সৈকতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে প্রথম সমুদ্র দেখার অভিজ্ঞতার কথা জানান। ইনানীর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিও। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনামলে অরণ্যঘেরা ইনানীর চেনছড়ি গ্রামে বেশ কিছু দিন ছিলেন বাংলাদেশের জাতির জনক।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।