২৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭ কার্তিক, ১৪৩২ | ৩০ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

সাংবাদিক নিহাদ আজিমকে হেনস্থাকারী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে দ্যা টেরিটরিয়াল নিউজের (টিটিএন) প্রধান প্রতিবেদক সাংবাদিক আজিম নিহাদ ও ভিডিও জার্নালাস্টি লোকমান হাকিমকে চরম হেনস্থা করে ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সহকারি পুলিশ সুপার, এসআই সজিব ও কনস্টেবল মতিন। রবিবার (০৩ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে এই ঘটনা জানতে পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে কক্সবাজারে কর্মরত সাংবাদিকরা। ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারের নেতৃবৃন্দ।

এক বিবৃতিতে রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজারের সভাপতি এইচ এম নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক এম. ওসমান গণি বলেন, আজিম নিহাদ একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক। তার অনুসন্ধানী রিপোর্ট জনমনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন থেকে লিখিত অনুমতি পত্র নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ভিডিও পারসনসহ তাকে চরমভাবে হেনস্থা করেন এপিবিএন—১৪ এর সহকারি পুলিশ সুপার, এসআই সজিব ও কনস্টেবল মতিন। যা স্বাধীন সাংবাদিকতার জন্য হুমকী স্বরূপ। তাই অবিলম্বে সাংবাদিক আজিম নিহাদসহ তার ক্যামরা পারসনকে হেনস্থাকারী এপিবিএন—১৪ এর পুলিশ সদস্যদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সংবাদ বর্জনসহ রিপোর্টার্স ইউনিটি কক্সবাজার সাংবাদিক সমাজ নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

উল্লেখ্যঃ একটি প্রতিবেদন করার জন্য শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন থেকে লিখিত অনুমতি পত্র নিয়ে আজিম নিহাদ ও ভিডিও জার্নালিস্ট লোকমান হাকিম গত রোববার সকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। সকালে তারা ক্যাম্প ৮ এবং ৯ এ কাজ করার পর দুপুরের দিকে ক্যাম্প—৪ এর মোচরা বাজার এলাকায় যায়। সেখানে বাজারের সরগরম পরিবেশের ভিডিও ধারণ করছিলেন ক্যামেরাম্যান লোকমান হাকিম। এসময় হঠাৎ এপিবিএনের কনস্টেবল মতিন লোকমানের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাকে আরআরআরসির অনুমতি পত্র দেখালেও আজিম নিহাদ ও লোকমানকে গালিগালাজ করে। ওই পুলিশ সদস্যের ভাষ্য—এখানে কিসের আরআরআরসি? আপনি জানেন না ক্যাম্প এখন আমরা (এপিবিএন) নিয়ন্ত্রণ করি? আমাদের পারমিশন ছাড়া কে ঢুকতে বললো আপনাকে? তখন ওয়ারলেসে সিগন্যাল দিয়ে সজিব নামে একজন এসআইকে ডেকে আনলো চেকপোস্টে। এই রকম সাংবাদিক আমার হাত থেকে কত বের হয়েছে হিসেব নেই। ১২ বছর আগে সাংবাদিকদের পড়াইতাম আমি। তিনি বলেন, জানিস আমি চাইলে এখন তোদের রোহিঙ্গা বানিয়ে ক্যাম্পে আটকে রাখতে পারি’? তোদেরকে রোহিঙ্গা বানিয়ে এখানে ফেলে রাখা কোন ব্যাপার না। বিষয়টি অতিরিক্ত আরআরআরসি শামসুদ্দৌজা জানালে তিনি ফোনে ওই পুলিশ সদস্যকে দিতে বলেন। কিন্তু পর পর দুইবার কনস্টেবল মতিন কল কেটে দেন। পরে পুলিশ পাহারায় এএসপির অফিসে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। সেখানে এএসপিও তাদের নাজেহাল করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে সাংবাদিক সমাজ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।