১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ২৩ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন

সংবাদ প্রকাশের অাগেই মানহানীর মামলা করার হুমকী দিলেন বিট অফিসার তারেক

received_1829258320665734
দৈনিক সমুদ্রকন্ঠে সংবাদ প্রকাশের আগেই মানহানি মামলার হুমকী দিলেন রামু উপজেলার চেইন্দার বিট অফিসার তারেকুল ইসলাম। তার বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে ঘর তোলার সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগে বক্তব্য নেয়ার জন্য মোবাইল করলে তিনি প্রতিবেদকের কোন প্রশ্ন না শুনে উল্টো মানহানি মামলা করার হুমকী দেন।
জানা যায়,বিট অফিসার তারেকুল ইসলাম চেইন্দায় যোগদান করেন চলতি বছরের আগষ্ট মাসে। যোগদানের পর থেকে স্থানীয় ভূমিদস্যদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন।এরপর থেকে দূনীর্তিতে জড়িয়ে পড়েন এই বিট অফিসার।তার মূল বেতন পনের হাজার ছয়শ টাকা হলেও তিনি লিংকরোড এলাকার সিকদার মহল নামক বাড়িতে মাসে পনের হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে থাকেন। তার মুল পোস্টং চেইন্দায় হলেও তিনি সপ্তাহে একদিন অফিস করেন।বাকি সময় তিনি লিংকরোডের চেকপোস্ট অফিসে থেকে গাছে গাড়ি ও মাটিটানা ডাম্পার থেকে দৈনিক চাঁদাবাজি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়,তারেকুল যোগদানের পর থেকে বিট অফিস সংলগ্ন এলাকায় বনভুমি দখল করে প্রায় ৫০টির বেশি ঘর নির্মান করেছে ভুমিদস্যরা।প্রতিঘর থেকে দেড় থেকে দুইহাজার করে টাকা চাঁদা নিয়েছেন তিনি।যার কারনে প্রতিনিয়ত বনের জায়গা বেদখলে যাচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে লিংকরোড বিটের উপকার ভোগিদের গাছ বেচার অভিযোগও রয়েছে
অহরহ।
তার সব দুনীর্তি চাপা রাখতে তিনি নিজেকে অধিক ক্ষমতাধর দাবি করে স্টাফদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
অফিসের এক স্টাফ নাম গোপন রাখার শর্তে বলেন,মিয়া সাব(বিট অফিসার) যোগদানের পর থেকে তেমন একটা অফিস করেন না।সবসময় তিনি লিংকরোডের বাসায় থাকেন। জায়গা দখল,ঘর নির্মান বা কোন বিষয়ে তাকে জানালেও কোন পদক্ষেপ না নিয়ে উল্টো চুপ থাকার তাগিদ দেন।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন,বিট অফিসার অফিস না করে বিভিন্ন দুনীর্তি করলেও দেখার কেউ নেই।এখন ভরসা হলো দুদক।যদি দুনীর্তি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাহলে তার সব দুনীর্তি বেরিয়ে আসবে। এবিষয়ে জানার জন্য সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ কে ফোন করলে তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেন যখন ঘর উঠছে তখন জানান নাই কেন? এখন কেন বলেন বলে রেগে যান।
এব্যাপারে বিভাগীয় বনকর্মকর্তা আলী কবিরের সাথে কথা হলে তিনি অবৈধভাবে ঘর নির্মানের বিষয়টি স্বীকার করে উচ্ছেদের ব্যাপারে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।