২৫ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১৫ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া সেনা ও বিজিপির ২৮৮ সদস্য ফিরল মিয়ানমারে   ●  কক্সবাজার পৌরবাসির কাছে মেয়রের শেষবারের মতো ৫ অনুরোধ   ●  কক্সবাজারে সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, শৃংখলা জোরদারের  লক্ষ্যে মোবাইল কোর্ট, জরিমানা   ●  রামুতে নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন  সুবিধা পেয়েছে ৫০ হাজার মানুষ     ●  কক্সবাজারে ছাত্রলীগের ৫ লক্ষ গাছ লাগনোর উদ্যোগ   ●  মহেশখালীতে সাংসদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্টের অভিযোগ    ●  জেএস‌আরের বিরুদ্ধে উঠা সকল অভিযোগ কে অপপ্রচার বলে দাবি সভাপতি জসিমের   ●  ‘দশ হাজার ইয়াবা গায়েব, আটক  সিএনজি জিডিমূলে জব্দ   ●  বাংলাদেশ ফরেস্ট রেঞ্জার’স ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা   ●  কক্সবাজার পৌরসভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুলের বরণ ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী মনতোষের বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত

আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবসে বক্তারা

শেখ মুজিবুর রহমান জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আইন করেন

নিজস্ব প্রতিনিধি:

বাস্তবায়ন করি অঙ্গীকার, জীববৈচিত্র হবে পুনরুদ্ধার, এই শ্লোগানে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস পালিত হয়েছে। বন অধিদপ্তর, পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন কক্সবাজার উত্তর ও দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথভাবে এ দিবসটি পালন করে। গতকাল সোমবার কক্সবাজারের বনভবন থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালী টি  শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে  বন ভবনের এসে শেষ হয়। পরে বন বিভাগের সম্মেলন কক্ষে কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা মিস ইসরাত ফাতেমা।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা ইসমত আরা নুরের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজারের উপ পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নেকমের ইকো লাইফ প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক ড. শফিকুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম বলেন,আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস ১৯৯৩ সালের শেষ দিকে পালনের জন্য ২৯ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু পৃথিবীর অনেক দেশে এই দিবস পালন বন্ধ করে দিলে ২০০২ সালের ২২ মে পালনের জন্য দিবসটি পুনঃনির্ধারণ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীব বৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ সেল ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন করেন।
সভায় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উপস্থিত সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য টেকসই  বনব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করণের লক্ষে বাসযোগ্য শহর গড়তে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের বিভাগীয় বনকর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, ইতোমধ্যে জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমরা বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে সচেতন করা হচ্ছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উদ্ভিদ, প্রাণী, প্রকৃতি নদী পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে  জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অংশীদার হতে পারবো। আমরা সকলেই যদি নিজ জায়গা থেকে সজাগ ও সতর্ক থেকে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে পৌঁছতে সক্ষম হবো।
বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষণ মো. আনিসুর রহমান। আলোচনা সভায় বক্তারা, আগামী প্রজন্মের জন্য একটি পরিবেশ বান্ধব সুন্দর বাংলাদেশ রেখে যেতে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের আহ্বান জানান।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।