১০ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

শাশুড় বাড়ির লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ট হোয়াইক্যং এর জহুর আলম

pic
স্ত্রীর যোগসাজসে শাশুর বাড়ির লোকজনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে যা-যা-বরেরমত ঘুরছে টেকনাফ হোয়াইক্যং এলাকার এক যুবক। প্রতিনিয়ত শাশুর বাড়ির হুমকী ধমকীতে দিনাতিপাত করছে ওই যুবক। ঘটনার বিবরণে জানাযায়, বিগত ২০১৩সালের ১৯জুন নোটারীর মাধ্যমে টেকনাফ থানার হোয়াইক্যং মুরাপাড়া এলাকায় শহর আলী ছেলে জহুর আলমের (২৩) সাথে একই ইউনিয়নের কাঞ্জর পাড়া এলাকার বজল আহমদের মেয়ে মনোয়ারা বেগম মুন্নির (১৮) বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার অত্যান্ত সুখেই কাটে। তাদের সংসারে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু ওই মেয়ের সাথে বিয়ের আগে যে ছেলেদের সাথে সম্পর্ক ছিল বিয়ের পরও তাদের সাথে সম্পর্ক রয়ে যায়। গোপনে চলতে থাকে তাদের সম্পর্ক। একদিন স্ত্রী ধরা পড়ে যায়, স্বামীর হাতেই। তখন থেকে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কলহের শুরু হয়। তখন স্ত্রী মুন্নি স্বামীর সংসার ছেড়ে পিতার বাড়িতে চলে যায়। দীর্ঘ ১৩মাস পর হঠাৎ গত ১২মে মুন্নি স্বামী জহুর আলমের কাছে চলে আসে। জহুর আলম তার কন্যা সন্তানের দিকে থাকিয়ে পূর্বের কথা ভুলে গিয়ে সরল মনে স্ত্রীকে বরণ করে নেন। স্বামী জুহুর আলম তার স্ত্রী মুন্নিকে নিয়ে কলাতলির জিনিয়া নামক একটি হোটেলে ওঠে। গত ১২মে হোটেলের ৩য় তলায় সি-ত্রি নং কক্ষ তারা ভাড়া নেয়। তাদের চিন্তা ভাবনা ছিল পরে তারা বাড়িতে চলে যাবে। কিন্তু গত ১৩ মে হঠাৎ মুন্নির পরিবারের লোকজন কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে ওই হোটেল মালিকের সহয়তায় রাত ৩টার দিকে কলাতলির কাজি (নিকাহ রেজিষ্ট্রা) রফিকুল ইসলামকে এনে জুহুর আলমকে জিম্মি করে ৩লাখ টাকার কাবিন নেয়। জহুর আলম অনেক কাকুতি মিনতি করেও রেহায় পায়নি। কিন্তু তারা এখন হুমকী দিচ্ছে ওই বালামে লিখবে ৩লাখ টাকার পরিবর্তে ৬লাখ টাকা।
এব্যাপরে জুহুর আলম জানান, সে পারিবারিক ভাবে ৩লাখ টাকা কাবিন দেওয়ার জন্য রাজি ছিল। কিন্তু রাত ৩টায় কাজি এনে তার স্ত্রীর বড়ভাই শাসমসুল আলম ও হোটেল মালিক এমডি বোরহার উদ্দিনসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী এনে তাকে মারধর করে জোরপূর্বক কাবিন নেওয়া সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু তারা এখন তাকে হুমকী দিয়ে আসছে ওই ৩লাখ টাকার কাবিন ৬লাখ টাকা করা হবে। এতে কোন ধরণের প্রতিবাদ করা হলে তাকে জানে মের ফেলবে বলে হুমকী দিয়ে আসছে। এ ব্যাপরে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।