
মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত সমাজ বির্নিমান করতে হলে বাংলাদেশের জনপ্রিয় খেলা ফুটবল খেলাকে আরও গুরুত্ব দিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম মজুমদার। গ্রামীণ বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধরে রাখার জন্য ফুটবলা খেলার পাশাপাশি হারিয়ে যাওয়া খেলাধুলাকে নতুন ভাবে প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার আহবান জানান। গতকাল ১০ ডিসেম্বর শনিবার বিকাল ৩টায় উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি খেলার মাঠে আয়োজিত শহীদ এটিএম জাফর আলম গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরষ্কার বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে উখিয়ার কৃতি সন্তান শহীদ এটিএম জাফর আলমের মতো একজন বীর শহীদকে মর্যাদার আসনে আসন্নীত করে তার নামে মাসব্যাপী ফুটবল টুর্ণামেন্ট আয়োজন করায় উখিয়া বাসী গর্বিত বলে উল্লেখ করেন।
এসময় বিশেষে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাঈন উদ্দিন, উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সোলতান মাহমুদ চৌধুরী, শহীদ পরিবারের সন্তান হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ আলম, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. গফুর উদ্দিন চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। খেলার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, শহীদ এটিএম জাফর আলম গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টের আয়োজক কমিটির আহবায়ক ছানাহ উল্লাহ।
উক্ত ফাইনাল খেলায় উখিয়া উপজেলার পরাশক্তি চৌধুরী পাড়া স্বপ্নকুড়ি একাদশকে ট্রাইব্রেকারে হারিয়ে উখিয়ার আরেক পরাশক্তি থাইংখালী খেলোয়াড় সমিতি চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। খেলার শুরুর প্রথমার্ধে ১৩ মিনিটের মাথায় স্বপ্নকুড়ি একাদশের ফরোয়াড ৯ নং জার্সিদারী খেলোয়াড় সাঈম প্রথম গোল করে চৌধুরী পাড়া স্বপ্নকুড়ি একাদশকে এগিয়ে নিলেও দ্বিতীয়ার্ধের ২৬ মিনিটের মাথায় থাইংখালী খেলোয়াড় সমিতির আরিফের পা থেকে গোল হওয়ায় খেলার সমতা মিলে। উভয় দল আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করে মরিয়া হয়ে উঠলেও শেষ পর্যন্ত খেলা গড়ায় ট্রাইব্রেকারে। ট্রাইবেকারে চৌধুরী পাড়া স্বপ্নকুড়ি একাদশকে হারিয়ে থাইংখালী খেলোয়াড় সমিতি চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এর দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান মিরন, সহকারী রেফারীর দায়িত্বে ছিলেন আমিনুল হক ও আলী হোসেন এবং চতুর্থ রেফারী ছিলেন শফিউল আলম শফি। উক্ত ফাইনাল খেলায় শ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছে থাইংখালী খেলোয়াড় সমিতির গোল রক্ষক। খেলায়া হাজার হাজার দর্শকের মুল আকর্ষণ ছিল স্বপ্নকুড়ি একাদশের ¯েœগাল থেকে আগত ১জন ও থাইংখালী খেলোয়াড় সমিতির নাইজেরিয়ান থেকে আগত ২ জন বিদেশী খেলোড়ের দিকে।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।