২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১২ পৌষ, ১৪৩২ | ৬ রজব, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  দুই দিন ধরে নিখোঁজ প্রবাল নিউজের প্রতিবেদক জুয়েল হাসান, থানায় জিডি   ●  গ্রামে গ্রামে আনন্দের স্রোত   ●  সিবিআইউ’র আইন বিভাগের ১৭তম ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  ক্ষোভ থেকে হত্যার ছক আঁকেন অপরাধী চক্র   ●  রামুর ধোয়াপালংয়ে পোল্ট্রি ব্যবসায়ী অপহরণ : ৩ লাখ টাকা ও মোবাইল লুট   ●  খুনিয়াপালংয়ে বিএনপি সভাপতির সহযোগিতায় শতবর্ষী কবরস্থান দখলের পাঁয়তারা   ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

লামার ফাইতংয়ে ৪টি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিল প্রশাসন, অক্ষত রয়েছে ১৯টি

picsart_1480658648346
লামার ফাইতংয়ে বান্দরবান ইটভাটা অনুসন্ধান কমিটি কর্তৃক অভিযানে ৪টি ব্রিকস এর চিমনি ও স্থাপনা ভেঙ্গে ধ্বংস করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালিত হয়। ফাইতং এলাকার ধ্বংসকৃত ব্রিকস গুলো হল, ইউবিএম-২, এইচবিএম, পিবিএম ও বিবিএম। এসময় অনুসন্ধান কমিটি আরো ৯টি ব্রিকস এর স্থাপনা, অবস্থান ও নানান তথ্য নিয়ে আসেন। বিশেষ করে ফাইতং এলাকায় মোট ২৩ টি ব্রিকফিন্ডের মধ্যে মাত্র ৪টি ব্রিকফিন্ডে অভিযান চালানো হলেও অক্ষত রয়ে গেছে আরো ১৯টি অবৈধ ব্রিকফিল্ড।
বান্দরবান ইটভাটা অনুসন্ধান কমিটি কর্তৃক অনুসন্ধানী অভিযানে নেতৃত্ব দেন কমিটির আহবায়ক ও বান্দরবান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন (সার্বিক) দিদারে আলম মো. মাকসুদ চৌধুরী। এসময় আরো ছিলেন, ইটভাটা অনুসন্ধান কমিটির সদস্য ও লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খিন ওয়ান নু, লামা থানা অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরে আলম, লামা সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখ শহীদুল ইসলাম, পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য বিভাগের প্রতিনিধি সহ প্রমূখ।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসন (সার্বিক) দিদারে আলম মো. মাকসুদ চৌধুরী বলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে ইটভাটা অনুসন্ধান কমিটি লামার ফাইতং এলাকায় এই অনুসন্ধানী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ৪টি ব্রিকস-এর চিমনি ও কাচাঁ ইট ভেঙ্গে ধ্বংস করা হয় এবং ৯টি ব্রিকসের যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযান চলমান থাকবে।
উল্লেখ্য, লামা উপজেলা ফাইতং এলাকায় ৫কিলোমিটারের মধ্যে নতুন পুরাতন মিলে ২৩টি ব্রিকফিল্ড রয়েছে। এছাড়া ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে ৩টি, সরই ১টি, লামা পৌরসভায় ১টি ও গজালিয়ায় ১টি ব্রিকফিল্ড রয়েছে।
সচেতন এলাকাবাসী বলেন, কক্সবাজারের চকরিয়া লাগোয়া বান্দরবানের লামা উপজেলার ফাইতংয়ে রাতারাতি গড়ে উঠা এসব পাহাড় ও বনখেকো অবৈধ ব্রিকফিল্ড গুলো এলাকার পরিবেশ নষ্ট করে যাচ্ছে। পরিবেশ বিধংসী এসব অবৈধ ব্রিকফিল্ড বন্ধ করার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী ও পরিবেশ ও বন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।