১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১ পৌষ, ১৪৩২ | ২৪ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন

রোহিঙ্গাদের সাথে স্থানীয়দের সম্প্রীতি বিষয়ক গবেষণা প্রতিবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের স্থানীয় জনগোষ্ঠি এবং রোহিঙ্গা কমিউনিটির মধ্যে সম্প্রীতি, সহাবস্থান বিষয়ক গবেষণা কাজের প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়েছে। যা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পালস এবং রিডস বাস্তবায়ন করছে।
পালসের উদ্যোগে রবিবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ।
পালসের নির্বাহী পরিচালক আবু মোরশেদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এসডিজি বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগোষ্ঠির বহুমাত্রিক উন্নয়নে এনজিওদের উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ভবিষ্যতে এধরণের স্টাডি কাজের পূর্বে বেশি সংখ্যক স্টেকহোল্ডারদের বিশেষত সাংবাদিকদের মতামত নেওয়া বেশি জরুরি বলে তিনি মনে করেন।
উখিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুন নাহার বেবী, জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সভাপতি সাঈদ মো. আনোয়ার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার, উপজেলা মহিলা বিয়য়ক কর্মকর্তা শিরিন আক্তার, ব্র্যাকের ম্যানেজার মাযহার উল ইসলাম, পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী।
গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন রিডসের চীফ কনসালটেন্ট দেওয়ান আবু এহসান।
প্রতিবেদনে সামাজিক সম্প্রীতির বিভিন্ন বিষয়ের বিশেষ দিকসমূহ তুলে ধরা হয়। সেই সঙ্গে বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠির প্রত্যাবর্তন না হওয়া পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে ঐক্য, বিশ্বাস, আস্থা, সহনশীলতা, সহাবস্থান বজায় রাখার উপর জোর দেওয়া হয়।
ভবিষ্যত কর্মপন্থা নির্ধারণে সকলের পারস্পারিক শ্রদ্ধা এবং বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ পরিবেশ তৈরির বিশেষ দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত সকলে প্রতিবেদনে উল্লেখিত বিষয়ে একমত পোষণ এবং সুপারিশ প্রদান করেন।
সভার বিশেষ অতিথি ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘সামাজিক সম্প্রীতি উন্নয়নে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানের বিষয়টি সর্ব্বোচ্চ গুরুত্ব পাওয়া উচিৎ।’ বেশি বেশি নগদ অর্থ প্রদান করে মানুষকে অলস হওয়ার ব্যাপারে উৎসাহিত না করতে তিনি পরামর্শ দেন।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান গফুর উদ্দীন চৌধুরী বলেন, ‘এনজিওদের কাজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে।’
ব্র্যাকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মাযহার উল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক সম্প্রীতির উপর নেয়া প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় এনজিওদের সহায়তা করার ভূমিকা তুলে ধরেন এবং এ বিষয়ে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস প্রত্যাশা করেন।
পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোজফ্ফর আহমদ বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি দেওয়ার চেয়ে স্থানীয় জনগণের চাহিদা অনুযায়ী যে কোনো পণ্য সরবরাহ করা উচিৎ।’
১০ লক্ষ রোহিঙ্গাদের জন্য সৃষ্ট বাজার ব্যবস্থায় স্থানীয় পণ্যসামগ্রী উৎপাদনের মধ্য দিয়ে চাহিদা অনুযায়ী উদ্যোক্তা সৃষ্টির উপর গুরুত্বারোপ করেন সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী।
সভায় চিহ্নিত সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা, পরামর্শগুলো পরবর্তীতে প্রতিবেদনের সাথে সংযুক্ত করে প্রতিবেদনটি প্রকাশনা করা হবে বলে সভাপতি মতামত ব্যক্ত করেন যা পরবর্তীতে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সহায়তা করবে। সেমিনারে বিভিন্ন পর্যায়ের ৪৫ জন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শিক্ষক, ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ, উপজেলার কর্মকর্তাবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।