১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২৬ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১৭ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!

রোহিঙ্গাদের উস্কানিদাতা উখিয়ার মিনার বিস্ফোরকসহ গ্রেফতার


বিশেষ প্রতিবেদকঃ ২১ দফা দাবী সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার তৈরীকরে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টানিয়ে রোহিঙ্গাদের উস্কানি ঘটনার মূল হোতা মাহবুব আলম মিনার (৩০) কে অবশেষে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার শহরের লারপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার অতি গোপনীয়তায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মিনার কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীর নিদানিয়া এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে ও সাবেক শিবির কর্মী বলে দাবি করেছে পুলিশ।

শুক্রবার রাতে কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রনজিত কুমার বড়–য়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কক্সবাজার শহরের লারপাড়ার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর মিনার রোহিঙ্গাদের পক্ষে ২১ দফা দাবী সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার তৈরী ও ক্যাম্প এলাকায় টানিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করেছে। তার কাছ থেকে কিছু কিস্ফোরক দ্রব্যও উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৫/৬ ধারায় কক্সবাজার সদর থানায় মামলা হয়েছে (নম্বর-২৭/ ১৩ অক্টোবর’২০১৭)। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দশ দিনের রিমান্ডে আবেদন দেয়া হয়েছে। রবিবার রিমান্ড শুনানী অনুষ্টিত হবে।

 

পুলিশ জানায়, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে মাহবুবুল আলম মিনার সক্রিয় হয়ে ওঠে। রোহিঙ্গাদের সাহায্যের নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে বিপুল ত্রাণ যোগাড় করে। রোহিঙ্গাদের নগদ টাকা ও ত্রাণ দেয়ার সময় নানা ভাবে তাদের প্রভাবিত করে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অবাধে যাতায়াতের সুযোগে উস্কানি দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় ২১ দফা দাবী সম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার লিখে রোহিঙ্গাদের উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা চালায়।

পুলিশ আরো জানায়, মিনার একটি মৌলবাদী সংগঠনের সাথে সংযুক্ত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। রোহিঙ্গাদের জোরালোভাবে সহযোগীতার জন্য কাতার, মালয়েশিয়া ও অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে মোটা অংকের অর্থ সংগ্রহ করছে। সে বড় ব্যানার লাগিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করে। তাই তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

তার ত্রাণ বিতরণ সময়ের ব্যানারে নিজের নামের সঙ্গে অর্থ দিয়ে সহযোগীতাকারী মালয়েশিয়া প্রবাসী হেলালউদ্দিন, মাওলানা নোমান, মো: খালেদ, অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী নুরুল কবির ও কাতার প্রবাসী মো. জয়নুল আবেদীনের নাম উল্লেখ করেন। এ ব্যানারে মিনার নিজেকে কক্সবাজার জেলা ‘নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ নেটওয়াক’ এর ইনচার্জ বলে দাবী করেছে।

পুলিশ জানায় এছাড়া মিনার ভূয়া পরিচয় দিয়ে লোকজনের কাছ থেকে অর্থ আদায় করেছে বলে জানা গেছে। সে কখনো কখনো নিজেকে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, আবার কখনো কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে স্বার্থ হাসিল করেছে বলেও তথ্য এসেছে। এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আবু বক্কর।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।