২৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৮ কার্তিক, ১৪৩২ | ১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

রামু সহিংসতার স্মরণ অনুষ্ঠানে হামলাকারীদের বিচার দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রামু

রামুতে ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে বৌদ্ধ বিহার ও বৌদ্ধ পল্লীতে অগ্নিকান্ড, ভাঙ্গচুর ও হামলা চালানো হয়েছিল। সেদিনের এ সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা সারাবিশ্বের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। কিন্তু নয় বছর পার হলেও এখনও এই ধ্বংসযজ্ঞের বিচার হয়নি। এভাবে বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। গতকাল বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রামু লালচিং-মৈত্রী বিহার কমপ্লেক্সে রামু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ যুব পরিষদ আয়োজিত রামু সহিংসতার স্মরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। ভোরে সাদাচিং এ বুদ্ধের সামনে অর্ঘ্যদানের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর সংঘদান, অষ্টপরিষ্কারদান, ধর্ম সভা ও শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন  করা হয়েছে।
রামু পানেরছড়া বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ সুচারিতা মহাথেরোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মদেশক ছিলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রাচ্যভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. জিনবোধি মহাথের। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, রামু সেনা নিবাসের স্টেশন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. রিয়াজুর রহমান বিপিএম. পিএসসি। বক্তৃতা করেন, রামু মৈত্রী বিহারের অধ্যক্ষ প্রজ্ঞাতিলক মহাথের, বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের পরিচালক করুনাশ্রী থের, রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের পরিচালক শিলপ্রিয় থের, রামু কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ যুব পরিষদ সভাপতি কেতন বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক বিপুল বড়ুয়া আব্বু প্রমুখ।

সংগঠনের সভাপতি কেতন বড়ুয়া ও সাধারণ সম্পাদক বিপুল বড়ুয়া আব্বু জানান, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বৌদ্ধদের অনেকগুলো বুদ্ধ মূর্তি, বুদ্ধের পবিত্র ধাতু, ধর্মগ্রন্থ পবিত্র ত্রিপিটক ও প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার আমাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেছে। মূলত হারিয়ে যাওয়া এসব স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং পূণ্যদান করতে এ আয়োজন করা হয়। তারা আরও জানান, আমরা এ ঘটনার বিচার চাই। কারণ অপরাধীরা শাস্তি না পেলে এ ধরনের ঘটনা বার বার ঘটবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।