৪ মে, ২০২৫ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৫ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা   ●  কৃষকদল নেতা পরিচয়ে জমি দখল গুলি বর্ষণ আটক ১

রামুর মেধাবী ছাত্রী আয়েশা ছিদ্দিকা জিপিএ-৫ পেয়েছে


রামুর আয়েশা ছিদ্দিকা ২০১৭ সালে এসএসসি ও সমমান পরিক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে রামু উপজেলার জারাইলতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। আয়েশা ছিদ্দিকা রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের জারাইলতলী গ্রামের ৫নং ওয়ার্ডের দিনমজুর কৃষক মুবিনুল হক ও আমিনা বেগমের মেয়ে। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সে দ্বিতীয়। তার বড় বোন মরিয়ম ছিদ্দিকা রামু সরকারী কলেজের সম্প্রতি শেষ হওয়া এইচএসসি ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ছাত্রী, ছোট ভাই জারাইলতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনির ছাত্র ও সকলের ছোট ভাই একই স্কুলে তৃতীয় শ্রেনিতে অধ্যয়নরত। ছয় সদস্য বিশিষ্ট এই কৃষক পরিবারে জন্ম হয়েছে বিজ্ঞান বিভাগের মেধাবী ছাত্রী আয়েশা ছিদ্দিকার। জিপিএ-৫ পাওয়া আয়েশা তার অনুভূতিতে জানান, আমার আজকের এই অর্জনের পেচনে প্রথমে আমার প্রিয় বিদ্যালয় জারাইলতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সকল শিক্ষকবৃন্দ, আমার মা-বাবা এবং বড় আপু। তাহাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও ভাল ফলাফল অর্জনে আমার দৃঢ় সংকল্প ও মহান আল্লাহর অসীম রহমতে লক্ষ্যে পৌছতে সক্ষম হয়েছি। আগামীতে সুযোগ পেলে সে উচ্চ মাধ্যমিকে চট্রগ্রামের একটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে চাই। সে সমাজের উচ্চ ও বৃত্তবানদের সহযোগিতা পেলে নিজেকে মানব সেবায় নিয়োজিত রাখার জন্য চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।
মেধাবী শিক্ষার্থী আয়েশা ছিদ্দিকার পিতা দিনমজুর মুবিনুল হক জানান, আমি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকম ব্যক্তি। আমার ৪ সন্তান সকলে স্কুল ও কলেজে পড়াশোনা করে। অর্থের অভাবে আমার বাড়িতে বিদ্যুৎতিক সংযোগ নেয়া সম্ভব হয়নি। খড়ের ছাউনীর বসত বাড়িতে হারিকেনের আলোতে আমার মেয়ে পড়াশোন করে যে সাফল্য আর্জন করেছে এতে আমি একজন গর্বিত পিতা। পৃথিবীতে আমি মনে করি আজকের দিনে আমার মত সুখি কেহ নেই। পারিবারিক অভাব অনটন লেগে থাকলেও আমার মেয়ে ইচ্ছে শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে পুরো উপজেলাবাসীকে গর্বিত করেছেন। আমার মেয়ের এ অর্জন রামু উপজেলাবাসীকে দিলাম। তিনি সকলের কাছে তার মেয়ের জন্য দোয়া কামনা করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।