২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ১০ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

রামুতে জাহাজ ভাসা উৎসবে প্রাণের মেলা

কক্সবাজারসময় ডেস্কঃ বাঁকখালী নদীর দুপাড়ে ছিল হাজারো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। নদীতে ভাসছে দৃষ্টিনন্দন কল্প জাহাজ। বাঁশ, বেত, কাঠ এবং রঙিন কাগজ দিয়ে অপূর্ব কারুকাজে তৈরি নদীতে ভাসমান এসব জাহাজ নিয়ে চলছে যেন বাঁধভাঙা আনন্দ। বিশেষ করে শিশু-কিশোর ও যুবকরা দল বেঁধে নানা বাদ্য বাজিয়ে জাহাজে নাচছে, গাইছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা আড়াইটা থেকে কক্সবাজারের রামু উপজেলার ফকিরা বাজারের পূর্বপাশে বাঁকখালী নদীতে চলে ঐতিহ্যবাহী জাহাজ ভাসা উৎসব। এটি সন্ধ্যা নাগাদ চলবে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে তিন দিনব্যাপি উৎসবের শেষ দিনে জাহাজ ভাসানোর আয়োজন করা হয়।

দুপুরে ব্যতিক্রমী এ আনন্দযজ্ঞে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহিদুর রহমান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লুৎফুর রহমান, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্ত ভূষণ বড়ুয়া, ট্রাস্টি দীপঙ্কর বড়ুয়া পিন্টু, বৌদ্ধনেতা প্রবীর বড়ুয়া, কক্সবাজার বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু, সাধারণ সম্পাদক অমরবিন্দু বড়ুয়া প্রমুখ।

রামুর পূর্ব রাজারকুল, হাজারীকুল, হাইটুপী রাখাইন পাড়া, হাইটুপী বড়ুয়াপাড়া, দ্বীপ-শ্রীকুল, জাদিপাড়া ও মেরংলোয়া গ্রাম থেকে মোট সাতটি কল্পজাহাজ নদীতে ভাসানো হয়েছে। সাত-আটটি নৌকার উপর বসানো হয়েছে এক-একটি কল্প জাহাজ। আকর্ষণীয় নির্মাণ শৈলীর কারণে খুব সহজেই এসব কল্প জাহাজ মানুষের দৃষ্টি কাড়ে।

প্রতিটি জাহাজেই আছে একাধিক মাইক। ঢোল, কাঁসর, মন্দিরাসহ নানা বাদ্যের তালে জাহাজের উপরে শিশু কিশোর ও যুবকেরা নেচে গিয়ে মেতেছে অন্যরকম আনন্দে। জাহাজ নিয়ে ভেসে এপার থেকে ওপারে যেতে যেতে মাইকে চলে বৌদ্ধ কীর্তন-নাচসহ নানা আনন্দায়োজন।

জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি ও জাহাজ ভাসা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অর্পন বড়ুয়া  জানান, আজ হতে দুইশ বছর আগে মিয়ানমারে মুরহন ঘা নামক স্থানে একটি নদীতে মংরাজ রাজংব্রান প্রথম এ উৎসবের আয়োজন করেন। প্রবারণা পূর্ণিমার একসাথে মিলিত হবার জন্য এ আয়োজন চলতো।
সেখান থেকে বাংলাদেশের রামুতে এ উৎসবের প্রচলন। প্রায় শত বছর ধরে রামুতে মহাসমারোহে এ উৎসব হয়ে আসছে। এছাড়া কয়েক বছর ধরে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, চৌফলদন্ডি ও চকরিয়ার মাতামুহুরী নদীতে জাহাজ ভাসানো উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলিম সকল সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে এ উৎসব অসাম্প্রদায়িক মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।