১০ মে, ২০২৪ | ২৭ বৈশাখ, ১৪৩১ | ১ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ

রাজারকুল রেঞ্জে প্রকাশ্যে গাছ ও পাহাড় কাটার মহোৎসবঃ বনের ভেতর করাতকল

কক্সবাজারের রামু উপজেলার রাজারকুল রেঞ্জের বিভিন্ন স্থানে চলছে প্রকাশ্যে গাছ ও পাহাড় কাটার মহোৎসব। অভিযোগ উঠেছে রামুতে নির্বিচারে পাহাড় কেটে সাবাড় করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রভাবশালী চক্র। রামুর খুনিয়া পালং ইউনিয়ন ও রাজারকুল ইউনিয়ন থেকে নির্বিচারে অবৈধভাবে বনের গাছ ও পাহাড় কাটা হলেও প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদপ্তরের কারো চোখে পড়ে না অভিযোগ করেছে স্থানীয় পরিবেশ সচেতন ব্যক্তিরা। জানাগেছে, দু-ইউনিয়নে একদিকে পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বাড়ি তৈরী করেছে হাজার হাজার । অপর দিকে রাজারকুল রেঞ্জ অফিসের দুইশ গজ এর ভিতরে প্রধান আরকান সড়কের পাশে দুটি স-মিল ও খুনিয়াপালং কালোর দোকান রাস্তার উপরে একটি এবং আপরুজু বিট অফিসের আওতাধীন বনের ভিতরে পাহাড় কেটে আরো একটি স-মিল বসিয়ে দিন রাত বনের গাছ নিধন করে যাচ্ছে গাছ চোরেরা।বর্তমানে গর্জন বাগান নাই বললেই চলে আপরুজু বিটে কিছু জাম গাছের বাগান ছিল তা গাছ চোর সন্ত্রাসীরা কেটে পাহাড়ের ভিতরে স-মিল বসিয়ে চিরায় করে বিক্রি করছে প্রকাশ্যে দিবালোকে।সংরক্ষিত বন বিভাগের পাহাড় আর সরকারি বাগানের গাছ কেটে পিক আপ গাড়িতে করে দিনের বেলায় আরকান সড়ক দিয়ে দারিয়ার দিঘী বিট ,আপরুজু বিট, রাজাকুল রেঞ্জ অফিস,ও বিট অফিসের সামনে দিয়ে রামু চৌমুহনী দিয়ে কক্সবাজার নিয়ে যাচ্ছে।যখন এলাকার সচেতন ব্যাক্তিরা অভিযোগ করে বলেন,বনবিভাগের অফিসের কর্মকর্তারা অস্বীকার করে বলে আমাদের বিটে কোন জায়গায় পাহাড় কাটা ও গাছ কাটা হচ্ছে না।বাড়ি ঘর নির্মাণ করলেও তা আমরা অভিযান চালিয়ে ভেঙ্গে দিচ্ছি।স্থানীয় সাধারণ জনসাধারণের অভিযোগে উঠে আসে ,রামু রাজারকুল নতুন পাড়া,পাঞ্জাখানাসহ খুনিয়া পালং ইউনিয়নের সরকারি জায়গায় পাহাড় কেটে যে বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে তাদেরকে থেকে দালালদের মাধ্যমে বন বিভাগের কর্মকর্তারা হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। দালালের কথা না শুনলে বন বিভাগের লোকেরা নিজেই হাজির হয়ে হুমকি দেয় টাকা দেওয়ার জন্য।গ্রামের সাধারণ অসহায় মানুষ ভয়ে তাদেরকে ঘোষ দিতে বাধ্য হয়ে যায়। টাকা নেওয়ার পরে বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে একটি বন মামলা রুজু করে বন কর্মকর্তারা।তারা অভিযোগে তারা আরো বলেন,প্রথমে এসে বাড়ি ঘর ভাঙ্গার শুরু করে অপরদিকে দালাল এসে কানে কানে বলে টাকা দিলে বাড়ি ভাঙ্গা বন্ধ হবে।তাই অপারগ হয়ে টাকা দিতে হয় বন বিভাগের লোকদের।টাকা হাতে নিয়ে বলে খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি তৈরি করে পেল।বাড়ি কাজ যখন শেষের দিকে তখন আবার খবর দেয় উপরস্ত স্যারদের ম্যানেজ করতে আরো টাকা লাগবে কাজ বন্ধ রাখ। সব মিলিয়ে গরিবের কপালে একটি সরকারি বন মামলা সারা জীবন কষ্টের বোজা বহন করতে হবে।সচেন মহল মনে করেন ,প্রথমেই আপনারা স্থাপনা নিমার্ণে বাধার সৃস্টি করতেন সাধারণ মানুষেরা এ জুলুমের শিকার হতনা।বনের জায়গায় অবস্থান রত মানুষেরা মনে করেন তাদের বাপ দাদার বিটায় বাড়িঘর করবে এতে দূষের কি আছে। যখন জানতে পারে এটা সরকারি জায়গা তখন তারা ভয়ে যে যা বলে সেটাই করে।তাদের মতে, যারা সন্ত্রাসী কায়দায় পাহাড় কেটে ইট ভাটায় ও বাড়ি ঘরে বিক্রি করছে এবং বনের ভিতর পাহাড় কেটে অবৈধ স-মিল বসিয়ে বনের গাছ নিধন করছে সেইসব প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে শাস্থির ব্যবস্থা করা হউক।গাছ ও পাহাড় কাটা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সরকারি পাহাড় ও অবৈধ স-মিল বসিয়ে বাগানের গাছ নিধনে জড়িতদের ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরী।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রভাবশালী চক্র অবধৈ ভাবে পাহাড় কেটে খুনিয়াপালং দারিয়ার দিঘী মৌলভী পাড়ায় বনের ভিতরে অবৈধ স-মিল বসিয়ে বনের গাছ সাবাড় করেতেছে এবং পাহাড়ের মাটি কেটে বিক্রির জন্য সহযোগিতা করেছে বলে এলাকায় জনমনে চরম ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।কিন্তু এ বাহিনীর বিরুদ্ধে এলাকার দারিদ্র জনসাধারণ ভয়ে কিছুই বলতে পারছে না।রামু বাসীর সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে নিরপেক্ষ ভাবে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর, বিভাগীয় বনকর্মকর্তা,বনসংরক্ষক কক্সবাজার জেলা ও সহকারী বনসংরক্ষক কক্সবাজার দক্ষিণ(এসিএফ) কর্মকর্তার সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে পরিদর্শন পূর্বক দূষি ব্যাক্তিদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হউক ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।