৭ জুলাই, ২০২৫ | ২৩ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১১ মহর্‌রম, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা

যৌন হয়রানি নির্মুলকরণে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

20161129_111330ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি বিভাগের ‘মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত’¡ (মেজনিন) কর্মসূচির উদ্যোগে আজ ২৯ নভেম্বর ২০১৬ রোজ মঙ্গলবার জেলা নির্বাচন অফিস সম্মেলন কক্ষ কক্সবাজার এ শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কমিউনিটি ওয়াচ গ্রুপের সদস্য ও যৌন হয়রানি নিমর্ূূলকরণ নেটওর্য়াক এর সদস্যদের নিয়ে একটি যৌন হয়রানি নিমর্ূূলকরণে অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো: সাইফুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), কক্সবাজার, বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, রাফিয়া আক্তার, প্রজেক্ট ম্যানেজার – মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, মানস বড়–য়া, সহকারী পরিদর্শক কক্সবাজার বাজার মডেল থানা, ফজলুল কাদের চৌধুরী, আহবায়ক – নেটওয়ার্ক কক্সবাজার ও সম্পাদক এবং প্রকাশক দৈনিক রূপালী সৈকত এছাড়াও সভায় সভাপতিত্ব করেন, শামীমা পারভীন-এডভাইজার, জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি বিভাগ, ব্র্যাক।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় মেজনিন কর্মসূচির সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট ঝর্না দাস বলেন, বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, স্কুল থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ হল যৌন হয়রানি। এর কারণে অভিভাবকরা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা ও অনিশ্চয়তা বোধ করেন এবং পরিণামে শিক্ষার্থীদের বাল্যবিবাহ দেওয়া হয়। এর ফলে মেয়েদের সামর্থ্য ও সম্ভাবনার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।

এই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সাল থেকে ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি বিভাগের ‘মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত’¡ (মেজনিন) কর্মসূচি চালু আছে। এর মাধ্যমে ঢাকাসহ ১৩টি জেলার ৪০৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবক, স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও কমিউনিটির সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ করে নারীর প্রতি যৌন হয়রানি ও সহিংসতা প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

সভায় উপস্থিত সকলে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন । আলোচনায় যে বিষয়গুলো উঠে আসে, পরিবার থেকেই ছেলে মেয়েদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকারে যার যার অবস্থান থেকে উদ্যোগ নিয়ে সকলে মিলে সম্মিলিত উদ্যোগ গড়ে তুলবেন। তারা অরো অঙ্গীকার করেন যে, তারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে যে সব এলাকায় যৌন হয়রানি সংঘটিত হয় সে এলাকা গুলো চিহ্নিত করে যৌন হয়রানি মুক্ত করতে কাজ করবেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।