৪ নভেম্বর, ২০২৫ | ১৯ কার্তিক, ১৪৩২ | ১২ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

যুদ্ধাপরাধে আমৃত্যু দণ্ডিত ইউসুফ আলীর মৃত্যু

hবৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৫০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত‌্যু হয় বলে তার ছেলে এসএম মোসাদ্দেক আলী মোহন জানান।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় জামালপুরে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক নুরুল আমীনকে অপহরণ করে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চলতি বছর ১৮ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব‌্যুনালে ইউসুফ আলীর আমৃত্যু কারাদণ্ডের রায় আসে।

একই মামলার আসামি মো. আশরাফ হোসেন, মো. আব্দুল মান্নান, মো. আব্দুল বারীকে মৃত‌্যুদণ্ড এবং অ্যাডভোকেট মো. শামসুল হক ওরফে ‘বদর ভাই’, ইসলামী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা শরীফ আহাম্মেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. আবুল হাশেম ও হারুনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

এ মামলার আট আসামির মধ‌্যে কেবল শামসুল ও ইউসুফ কারাগারে ছিলেন। রায়ের বিরুদ্ধে তাদের আপিল সুপ্রিম কোর্টে শুনানির অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় ৮৫ বছর বয়সী ইউসুফের মৃত‌্যু হল।

ইউসুফকে রাখা হয়েছিল কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছিলেন বলে জ‌্যেষ্ঠ জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির জানান।

বৃহস্পতিবার দুপুরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ইউসুফকে কারা হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত‌্যু হয় বলে জানান জাহাঙ্গীর।

জামালপুর শহরের সিংহজানী বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলী একাত্তরে জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। জামালপুর শহরের মধুপুর রোডের জিগাতলা এলাকায় তার বাড়ি।

জামায়াতের মনোনয়নে ১৯৭০ সালে এমএনএ নির্বাচন করে পরাজিত হন ইউসুফ। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন এবং যুদ্ধাপরাধ ঘটনা বলে আদালতের বিচারে উঠে এসেছে।

যুদ্ধাপরাধের মামলায় ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলে ২০১৫ সালের ৩ মার্চ জামালপুর শহরের সরকারি জাহেদা সফির মহিলা কলেজ গেইট থেকে পুলিশ ইউসুফকে গ্রেপ্তার করে। তারপর থেকে তিনি কারাগারেই ছিলেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।