৬ মে, ২০২৫ | ২৩ বৈশাখ, ১৪৩২ | ৭ জিলকদ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  শ্রমিক দিবসে সামাজিক সংগঠন “মানুষ” এর ভিন্নধর্মী উদ্যোগ   ●  বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. আবদুল হাই এর ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী ২৯ এপ্রিল   ●  লুৎফুর রহমান কাজলের মা সাবেক এমপি সালেহা খানমের ইন্তেকাল করেছেন   ●  টেকনাফে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ১   ●  সিবিআইইউ’তে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন হয়েছে।   ●  গভীর রাতে পাহাড়ের মাটিভর্তি একটি ড্রাম ট্রাক( ডাম্পার) জব্দ করেছে কক্সবাজার বনবিভাগ   ●  অস্ত্র উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে জেলার শ্রেষ্ঠ হলেন এসআই খোকন কান্তি রুদ্র   ●  উখিয়ায় সাংবাদিক জসিম আজাদের জমি ও বসতবাড়ি দখলের চেষ্টায় হামলা

মেধাবী ছাত্র তৌহিদের পাশে দাঁড়ালেন অবসর প্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার জাফর আহমদ


চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মাদ্রাসা ইউনিয়নের মির্জাখীল আনোয়ারে রহমানিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মেধাবী ছাত্র মির্জাখীল ডিলার পাড়ার আবুল হোসেনের পুত্র তৌহিদ। পড়া লেখার খুব আগ্রহ তৌহিদের। কিন্তু আবুল হোসেনের অভাবের সংসার ছেলেকে কী ভাবে পড়শোনা করাবে? তেমন কোন নেই আয় উপার্জন। নিজের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়ে যায় তার মাঝে ছেলেকে বই – খাতা, ব্যাগ, মাদ্রাসার ড্রেস কিভাবে দিবে? তৌহিদের বয়স আনুমানিক ১৩ বছর। আবুল হোসেনের দুই সন্তান রয়েছে। বড় ছেলের ওয়াহিদ ১৫ বছর। অভাব অনটনের কারনে দুই বছর পুর্ব হতে ওয়াহিদ ছোট্ট একটি চাকরী করেন । আর ছোট ছেলে তৌহিদ কে কিছুদিন আগে চাকরি করছে শুধুমাত্র অভাব অনটনের কারণে। স্ত্রী সন্তানদের জন্য যেখানে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করা তার বাবার পক্ষে সম্ভব নয়।মেধাবী ছাত্র তৌহিদের চাকরিতে মন বসে না। তৌহিদের মনে চায় বন্ধুদের মাদ্রাসায় যেতে , মনে পড়ে যায় খেলার মাঠের কথা ভাবতে ভাবতে মন বসেনা কাজে। এই ছোট্ট ছেলে তৌহিদের মাঝে মাঝে চাকরী ছেড়ে চলে আসে বাড়িতে। মায়ের পায়ে ধরে তৌহিদ কাঁন্না করতে করতে বলে মা, মাগো যেভাবে হোক আমাকে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দেন মা । তৌহিদের মায়ের কাছ থেকে পড়াশোনার আগ্রহের কথা শোনে তৌহিদের পাশে এসে দাঁড়ালেন চট্টগ্রাম সাতকানিয়া মির্জাখীল ডিলার পাড়ার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার জাফর আহমদ। তৌহিদ কে ব্যাগ, ড্রেস, খাতা -কলম সহ প্রয়োজনীয় সব কিছু নিয়ে দিলেন। তৌহিদের সমস্ত পড়ালেখার খরচ তিনি বহন করবেন বলে জানিয়েছেন এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা।৭ম শ্রেণীর তৌহিদের মুখে এখন হাসি, সে প্রতিদিন মাদ্রাসায় যাচ্ছে, বিকেলে সহপাঠীদের সাথে খেলাধূলা করছে। এখন তার সপ্ন বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হওয়া। এই তৌহিদের মতো আরো অনেক তৌহিদ আমাদের সমাজে পড়ে আছে। যদি একে একজনের পাশি গিয়ে এই সাবেক সেনা কর্মকর্তার মতো পাশে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার হাত প্রসারিত করে তাহলে এলাকার অনেক অসহায় স্কুল ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া থেকে বঞ্চিত হবেনা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।