১৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ২৮ আশ্বিন, ১৪৩২ | ২০ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান

মেধাবী ছাত্র তৌহিদের পাশে দাঁড়ালেন অবসর প্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার জাফর আহমদ


চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার মাদ্রাসা ইউনিয়নের মির্জাখীল আনোয়ারে রহমানিয়া আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মেধাবী ছাত্র মির্জাখীল ডিলার পাড়ার আবুল হোসেনের পুত্র তৌহিদ। পড়া লেখার খুব আগ্রহ তৌহিদের। কিন্তু আবুল হোসেনের অভাবের সংসার ছেলেকে কী ভাবে পড়শোনা করাবে? তেমন কোন নেই আয় উপার্জন। নিজের সংসার চালাতে খুব কষ্ট হয়ে যায় তার মাঝে ছেলেকে বই – খাতা, ব্যাগ, মাদ্রাসার ড্রেস কিভাবে দিবে? তৌহিদের বয়স আনুমানিক ১৩ বছর। আবুল হোসেনের দুই সন্তান রয়েছে। বড় ছেলের ওয়াহিদ ১৫ বছর। অভাব অনটনের কারনে দুই বছর পুর্ব হতে ওয়াহিদ ছোট্ট একটি চাকরী করেন । আর ছোট ছেলে তৌহিদ কে কিছুদিন আগে চাকরি করছে শুধুমাত্র অভাব অনটনের কারণে। স্ত্রী সন্তানদের জন্য যেখানে দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় করা তার বাবার পক্ষে সম্ভব নয়।মেধাবী ছাত্র তৌহিদের চাকরিতে মন বসে না। তৌহিদের মনে চায় বন্ধুদের মাদ্রাসায় যেতে , মনে পড়ে যায় খেলার মাঠের কথা ভাবতে ভাবতে মন বসেনা কাজে। এই ছোট্ট ছেলে তৌহিদের মাঝে মাঝে চাকরী ছেড়ে চলে আসে বাড়িতে। মায়ের পায়ে ধরে তৌহিদ কাঁন্না করতে করতে বলে মা, মাগো যেভাবে হোক আমাকে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দেন মা । তৌহিদের মায়ের কাছ থেকে পড়াশোনার আগ্রহের কথা শোনে তৌহিদের পাশে এসে দাঁড়ালেন চট্টগ্রাম সাতকানিয়া মির্জাখীল ডিলার পাড়ার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসর প্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার জাফর আহমদ। তৌহিদ কে ব্যাগ, ড্রেস, খাতা -কলম সহ প্রয়োজনীয় সব কিছু নিয়ে দিলেন। তৌহিদের সমস্ত পড়ালেখার খরচ তিনি বহন করবেন বলে জানিয়েছেন এই সাবেক সেনা কর্মকর্তা।৭ম শ্রেণীর তৌহিদের মুখে এখন হাসি, সে প্রতিদিন মাদ্রাসায় যাচ্ছে, বিকেলে সহপাঠীদের সাথে খেলাধূলা করছে। এখন তার সপ্ন বড় হয়ে মানুষের মতো মানুষ হওয়া। এই তৌহিদের মতো আরো অনেক তৌহিদ আমাদের সমাজে পড়ে আছে। যদি একে একজনের পাশি গিয়ে এই সাবেক সেনা কর্মকর্তার মতো পাশে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার হাত প্রসারিত করে তাহলে এলাকার অনেক অসহায় স্কুল ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা লেখা পড়া থেকে বঞ্চিত হবেনা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।