১৮ জুন, ২০২৫ | ৪ আষাঢ়, ১৪৩২ | ২১ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মিয়ানমারের একটি সমুদ্র বন্দরের ৮৫ শতাংশ মালিকানা চায় চীন

বঙ্গোপসাগরে মিয়ানমারের একটি সমুদ্র বন্দরের ৮৫ শতাংশ মালিকানা দাবি করেছে চীন। সমুদ্র বন্দরটি চীনের জন্য কৌশলগতভাবে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড পরিকল্পনার আওতায় বঙ্গোপসাগরের কিয়ায়ুক পিউ সমুদ্র বন্দরটির অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে চীন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স সরকারি নথির বরাত দিয়ে শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, সমুদ্র বন্দরটিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নিতে ৮৫ শতাংশ মালিকানার দাবি জানিয়েছে বেইজিং। এই সমুদ্র বন্দর দিয়ে এশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক সংযোগ বৃদ্ধি পাবে। মিয়ানমারে চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সহযোগিতা এ অঞ্চলে উত্তেজনা সৃষ্টির আশঙ্কা তৈরি করছে।

চীনের হয়ে মালিকানার এই প্রস্তাবটি দিয়েছে দেশটির সিটিক গ্রুপ। কোম্পানিটির প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ৭.৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে তারা ৭০-৮৫ শতাংশ মালিকানা।

দুই দেশের মধ্যে আলোচনায় এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নথিটি পর্যালোচনা করেছে রয়টার্স এবং আলোচনায় জড়িত তিন ব্যক্তির সঙ্গেও কথা বলেছে।  এই তিন ব্যক্তির মধ্যে চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই সিটিক গ্রুপ ও মিয়ানমারের বেসামরিক সরকারের কর্মকর্তা রয়েছেন।

দুই ব্যক্তি জানিয়েছেন, গত বছর মিয়ানমার যৌথ মালিকানায় ৫০/৫০ শতাংশের প্রস্তাব করেছিল। চীনা সিটিক এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ সূত্র জানিয়েছে, গত মাসে চীন ইঙ্গিত দেয় মিয়ানমারের  বিতর্কিত মিইয়ুটসোন বাঁধ প্রকল্পে ৩.৬ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ইঙ্গিত দিয়েছিল। বঙ্গোপসাগরের বন্দরসহ মিয়ানমারে বিভিন্ন কৌশলগত সুবিধা আদায়ের জন্য চীন দেশটিকে চাপে ফেলার এই কৌশল নেয়।

এই সমুদ্র বন্দরটি চীনের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তেল ও গ্যাসের পাইপলাইন চীনে আসার প্রবেশমুখ হিসেবে বন্দরটি কাজ করবে। যার ফলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে তেল আমদানীর বিকল্প একটি রুট তৈরি হবে। তখন মালাকা প্রণালী দিয়ে আর চীনকে তেল আনতে হবে না।

শুক্রবার এই বিষয় নিয়ে সিটিক গ্রুপের সঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ যোগাযোগ করা হলেও কোনও জবাব পায়নি তারা। মন্তব্য জানতে ফ্যাক্স করা হলেও কোনও তাৎক্ষণিক জবাব দেয়নি চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে পরবর্তী আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।