১৩ জুলাই, ২০২৫ | ২৯ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৭ মহর্‌রম, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা

মিয়ানমারে চলমান নৃশংসতা মানবতাবিরোধী অপরাধ

মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী রোহিঙ্গাদের ওপর যে ধরণের নির্যাতন-নিপীড়ন চালাচ্ছে তা মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

আজ সোমবার সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত অক্টোবরে মিয়ানমারের মংড়ুতে পুলিশের ওপর সন্ত্রাসী হামলাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে পুলিশ। নভেম্বরে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নির্মূলের চেষ্টা করছে মিয়ানমার সরকার।

প্রায় একই সময় সেনাবাহিনীর হামলায় বিধ্বস্ত রোহিঙ্গা গ্রামগুলোর স্যাটেলাইট চিত্র প্রকাশ করে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। অ্যামনেস্টির হিসেব অনুযায়ী, গত অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২৭ হাজার রোহিঙ্গা প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি জানায়, মিয়ানমার ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সদস্যদের সাক্ষাৎকার, স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া চিত্র বিশ্লেষণ ও ভিডিও চিত্রের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। এতে মিয়ানমার এর সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গাদের হত্যা, গণধর্ষণ, নির্যাতন ও তাদের বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নিযংযোগ এর অভিযোগ আনা হয়েছে। অ্যামনেস্টি মনে করছে এসকল কর্মকাণ্ড মানবতাবিরোধী অপরাধের শামিল হতে পারে।

সংস্থাটির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা বিষয়ক পরিচালক রাফেন্দি ডিজামিন বলেন, ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বেসামরিক রোহিঙ্গাদেরকে অনুভূতিহীন ও নিয়মতান্ত্রিক সহিংসতার লক্ষ্যে পরিণত করেছে। একটি সমন্বিত শাস্তির অংশ হিসেবে সেখানে পুরুষ, মহিলা, শিশু, পুরো পরিবার, পুরো গ্রামের ওপর হামলা হয়েছে এবং নির্যাতন করা হয়েছে।’এই ইস্যুতে দেশটির ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ নেত্রি অং সাং সুচি তার রাজনৈতিক ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি রাখাইন রাজ্যে তারা সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।