মিয়ানমারে সেনার গুলিতে আহত শাহ আলম (৪৫) নামে এক রোহিঙ্গা ১৯ ডিসেম্বর টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মারা গেছেন। টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। দুপুরে সরেজমিন পরিদর্শনকালে শাহ আলমের লাশ লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘এ’ ব্লকে ১০৬ নম্বর কক্ষে ছোট বোন রমিজার আশ্রয়ে দেখা গেছে।
শাহ আলমের সাথে পালিয়ে আসা খালাত বোন ফাতেমা বেগম (৪৮) জানান ১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মিয়ানমার আরকান রাজ্যের মংডু টাউনশীপের আওতাধীন মাংগালা গ্রামের বাসিন্দা ছৈয়দুল আমিনের পুত্র শাহ আলম (৪৫) মিয়ানমারে সেনার গুলিতে গুরুতর আহত হন। তাঁর বাম বুকে গুলি লাগে। এঘটনায় অনেকে হতাহত হয়েছে। সেখানে চিকিৎসার অভাব ও বাহিনীদের হামলায় সর্বস্ব হারিয়ে অন্যান্য রোহিঙ্গাদের সাথে গুলিবিদ্ধ শাহ আলমকে নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে আসে। এখানে এসেও শেষ রক্ষা হয়নি। বাংলাদেশে ঢুকে আগে থেকে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসরত রমিজা বেগমের বাসায় পৌঁছে ১৯ ডিসেম্বর ভোর রাতে। সকালে চিকিৎসার আগেই শাহ আলম বোনের বাসায় মারা যান।
লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ‘এ’ ব্লকে ১০৬ নম্বর কক্ষের বাসিন্দা নিহত শাহ আলমের ছোট বোন রমিজা বেগম জানান শাহ আলমের ৮ জন ছেলে-মেয়ে রয়েছে। মা-বাবা, ভাই-বোন ও আতœীয়-স্বজন সকলে এখনও মিয়ানমারে। ভাবী মাজুমা খাতুন সন্তান প্রসব করায় সাথে আসতে পারেননি। খালাতো বোন ফাতেমা বেগমকে নিয়ে পালিয়ে এসেছেন। গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর প্রচুর রক্তক্ষরণে ও বিনা চিকিৎসায় শাহ আলম মারা যায়। ##
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।