১০ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

মামু সমাচার

সাধারণত: মায়ের ভাইকে মামা অর্থাৎ মামু বলে সম্বোধন করা হয়। অনেকে আবার হাতীকেও মামু বলে ডাকেন। এই মামু ডাকার পেছনে এক ধরনের ভয় কাজ করে, তাই স্থলভাগের বৃহদাকার জন্তু হাতীকে মামু বলে ভয়ের পরিবর্তে শান্তি পেতে চান অনেকেই। কিন্তু মায়ের ভাইও না আবার হাতীও না, বরং রকমারী ধান্ধার মাধ্যমে আর্থিক ও অন্যান্য সুবিধা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য ‘মামু সমাচার’ চাুল হয়েছে কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁওতে। বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকায় জমজমামাট ভাবে চলছে অভিনব এ মামু বানিজ্য। মানবপাচারকারী, মাদক ব্যবসায়ী, হুন্ডি ব্যবসায়ী, চোরাচালানী, বলি খেলার আয়োজক জোয়াড়ীচক্র ও জঙ্গি নেতাসহ অনৈতিক ব্যবসার মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া নব্য পয়সাওয়ালাদের পাতানো মামু বানিয়ে চলছে চাঁদাবাজি ও ধান্ধাবাজীর মচ্ছব। এসব দু’নাম্বারী পয়সা ওলারা সাধারণত মানসিক ও নৈতিকভাবে একটু দূর্বল থাকেন। এ দূর্বলতাকে পুজি করে হুমকি-ধমকির মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে টাকা-পয়সা-দ্রব্যসামগ্রী ও অনুদান, যা প্রত্যক্ষ চাদাঁবাজির পর্যায়ে পড়ে। মা তথা নানা বাড়ির দুরতম কোন আত্মীয় না হলেও অবলীলায় ধান্ধাবাজদের মামা বনে যাচ্ছেন এসব পয়সাওয়ালারা, আর বাধ্য হচ্ছেন পাতানো ভাগিনাদের প্যাড সর্বস্ব সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানকে অনুদান দিতে। জনসেবায় ব্যয় করার নাম করে নেওয়া এসব অনুদান আতœসেবায় খরচ হচ্ছে অহরহ। তাই এসব ধান্ধাবাজ পাতানো ভাগিনাদের উৎপাতে ‘ত্রাহি মধুসুধন’ অবস্থা চলছে মামুদের। আবদার-অনুরোধ-উপরোধ ও ক্ষেত্রবিশেষে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে চলছে চাঁদাবাজি। মাস দু’ এক আগে বিদেশ থেকে এসে প্যাডসর্বস্ব এরকম একটি প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকা, কম্পিউটার প্রিন্টার ও স্ক্যানারসহ অন্যান্য দ্রব্যসামগ্রী অনুদান দেওয়ার পরেও চাহিদা আরো বেড়ে যাওয়ায় ভাগিনাদের উৎপাতে সম্প্রতি তড়িঘড়ি করে ব্যাক টু প্যাভিলিয়ন করে আবারো বিদেশে পালিয়ে বেঁচেছেন নব্যধনপতি ও একাধিক মামলার আসামী এক জঙ্গিমামু। এভাবে চলছে ধান্ধাবাজির মামু সমাচার। এসব যেন দেখার কেউ নাই!

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।