মহেশখালীর মাতারবাড়ী সড়ক থেকে ৭২ দিন পূর্বে চুরি হয়ে যাওয়া ঢাম্পার গাড়ীর সন্ধান পেলেও রহস্যজনক কারণে গাড়ীটি উদ্ধার করছে না মহেশখালী থানার পুলিশ। ফলে মরিচা ধরে গাড়ীটির বিভিন্ন অংশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । এতে গাড়ীর মালিক দোস মোহাম্মদ মাথায় হাত দিয়েছে। তিনি মাতারবাড়ী ইউনিয়নের মগড়েইল গ্রামের আসরাফ মিয়ার পুত্র ।
মাতারবাড়ী ইউনিয়নের মগঢেইল গ্রামের আসরাফ মিয়ার পুত্র দোস মোহাম্মদ গত ৬ নভেম্বর মহেশখালী থানায় লিখিত এজাহারে জানান, তার মালিকানাধীন সাড়ে ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ঢাম্পার গাড়ীটি তার গাড়ী চালক গত ৬ অক্টোবর রাতে মাতারবাড়ী সড়কের ধারাখাল ব্রিজের পশ্চিম পাশে রেখে বাড়ীতে চলে যায়। পরক্ষণে তার গাড়ীটি সংঘবদ্ধ চোররা চুরি করে নিয়ে যায়। পরদিন তার গাড়ীটি বহু খোজাখুজি করার পর মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সর্দার পাড়ার নুরুল ইসলামকে ১নং তিতামাঝি পাড়ার কফিল উদ্দিনকে ২নং আসামী করে ৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং জি.আর ৩০৯/১৬। মামলা দায়েরের পর অভিযুক্ত কফিল উদ্দিনকে মহেশখালী থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে । তার স্বীকারোক্তিতে মতে জানান, চোরাই করা গাড়ীটি শাহারবিল ইউ.পি চেয়ারম্যানের অধীনে রেখেছে। তার স্বীকারোক্তিতে উক্ত গাড়ীটি চেয়ারম্যানের কাছে আছে কিনা মহেশখালী থানার ও.সি ফোন করলে শাহারবিল ইউ.পি চেয়ারম্যান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং গাড়ীটি ফেরৎ দিবে বলে মহেশখালী থানার ওসিকে আশ্বস্থ্য করেন। কিন্তু গাড়ীটি ফেরৎ না দিয়ে বিভিন্নভাবে তালবাহানা করতে থাকে। অবশেষে মহেশখালী থানার ওসির ব্যাপক চাপের মুখে গাড়ীটি অজ্ঞাত স্থানে সরিয়ে ফেলে। ফলে গাড়ীটির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা করেছেন গাড়ীর মালিক। এ ব্যাপারে গাড়ীর মালিক দোস মোহাম্মদ জেলা পুলিশ সুপার এবং জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।