
বিশেষ প্রতিবেদকঃ কক্সবাজারের মহেশখালীতে চিংড়ি ঘের থেকে তুলে নিয়ে এক শ্রমিককে হাত-পা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার ভোররাত তিনটার দিকে কালারমারছড়ার ওসমানগণি চেয়ারম্যানের ঘের থেকে তাকে তুলে নিয়ে গুলি করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধ শ্রমিককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ শ্রমিকের নাম দেলোয়ার হোসেন (৩৮)। তিনি কালারমারছরার মো. শাহঘোনার মৃত আবদুর রহিমের ছেলে ও ইউপি চেয়ারম্যান তারেক শরীফের বাবার নামীয় ঘের ওসমান চেয়ারম্যানের প্রজেক্ট’র পানি নিষ্কাশন কর্মচারি হিসেবে কাজ করতেন।
গুলিবিদ্ধ দেলোয়ার জানান, এখন লবণ মৌসুম হওয়ায় ঘেরে পরমাপ মতো পানি ঢুকাতে হয়। মঙ্গলবার ভোরের জোয়ারের পানি ঢুকাতে স্লুইচ গেইট খুলতে যাওয়ার পর স্থানীয় একদল দুর্বৃত্ত তাকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে যায়। নোনাছড়ি এলাকসয় নিয়ে তাকে অমানবিক ভাবে প্রহারের পর শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলি করে।
যারা গুলি করেছে তারা স্থানীয় সেলিম ও জিয়া বাহিনীর সদস্য জয়নাল, রফিক, এরফান, সাহাব উদ্দিন, শাহজাহান, মীর কাশেম,জিহাদ, রফিক, রাসেল, শওকত, মিজান, কিলার মিজান,জাফর, শফিউল আলম, নাজু ডাকাতকে তিনি চিনতে পেরেছেন বলে উল্লেখ করেন। এ দলে আরো বেশ কয়েকজন ছিলেন যাদের তিনি চিনতে পারেননি। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে দুর্বৃত্তরা ফাঁকাগুলি চালিয়ে উল্লাস করে।
কালারমারছরা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান তারেক শরীফ জানান, তাকে উঠিয়ে নেয়ার খবর পেয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হয়। পুলিশ গিয়ে দেলোয়ারকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, ইউপি নির্বাচনে আমার কাছে হারার পর সেলিম তার বাহিনী নিয়ে আমাদের পরিবারের উপর একের পর এক হামলা করছে। আজ (মঙ্গলবার) আমাদের ঘেরের শ্রমিককে ধরে নিয়ে গুলি করেছে তার বাহিনীর সদস্যরা। এখন তার দলে নিয়েছে চারদলীয় জোটের সময়কার দূর্ধর্ষ জিয়া বাহিনীকে। যারা একসাথে মিলে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
মহেশখালী থানার ওসি জানান, একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল নোনাছড়ি থেকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মহেশখালী হাসপাতালে নিয়ে যায়। মহেশখালী হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করে। পরবর্তীতে অবস্থা গুরুতর দেখে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। বর্তমানে দেলোয়ারের অবস্থা আশংকাজনক বলে দাবি করেছেন তার পরিবার।
২০২১ ফেব্রুয়ারি ০৮ ০৮:৩১:১১
২০২০ জুলাই ২৮ ০৬:০২:৪৫
২০২০ জুন ২৭ ১১:১৮:৫৪
২০২০ জুন ২২ ১২:৫৩:২৯
২০২০ মে ২৯ ০৫:৫৩:৩৫
২০২০ মে ০৯ ০১:০৫:২৩
২০২০ মে ০৭ ০৫:০৩:৩০
২০২০ মে ০৫ ১১:৫৩:৩৯
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।