৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২৩ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৬ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন   ●  ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজারে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

মহেশখালীতে উচ্ছেদ অভিযানে অবৈধ পাকা স্থাপনা ধ্বংস করলো বনবিভাগ; ৫০ একর বনভূমি দখলমুক্ত

নিজস্ব প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার পশ্চিমে প্যারাবন নিধন করে গড়ে তুলা চিংড়ি ঘেরে অভিযান চালিয়েছে উপকুলীয় বন বিভাগ। এসময় ৫০ একরেরও গভীর বনাঞ্চল উদ্ধার এবং বনের জায়গায় গড়ে তুলা পাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বন বিভাগ। গতকাল বুধবার দিনব্যাপী অভিযান চালিয়ে এইসব স্থাপনা উচ্ছেদ ও বনভূমি দখলমুক্ত করা হয়। কক্সবাজার উপকূলীয় বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) শেখ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি প্রভাবশালী চক্র মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পশ্চিমে আমাবশ্যাখালী মৌজায় অবস্থিত বিশাল ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট তথা প্যারাবন কেটে অবৈধ বাধ দিয়ে চিংড়ি ঘের করে আসছিল। এ ব্যপারে উপকূলীয় বন বিভাগ তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেন।
তিনি জানান সপ্তাহব্যপি উপকুলীয় বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে বন বিভাগের কর্মকর্তা ও বন কর্মীরা উক্ত এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে উপকূলীয় বনবিভাগের জমি দখল করে চিংড়ি ঘের নির্মাণের অপচেষ্টা ভন্ডুল করে দেয়। অভিযান চলাকালে দুষ্কৃতকারীরা বন কর্মীদের উপর হামলা চালালে বন বিভাগের কর্মীরা পাকা গুলি ছুড়ে তাদের তাড়িয়ে দেয়। পর বেরি বাঁধ কেটে দিয়ে পানির প্রবাহ পুনঃ স্হাপন করে এবং স্হাপন উচ্ছেদ করে প্রায় ৫০ একর প্যারাবনের জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান একই সময়ে উপকুলীয় বন বিভাগের  মহেশখালী রেঞ্জের কেরনতলী বিটের কাছে  হোয়ানক কলেজের পিছনে সরকারি সংরক্ষিত বনের জায়গা অবৈধভাবে জবরদখল করে নির্মাণ করা পাকা স্হাপনা উচ্ছেদ করে। স্হানীয় প্রভাবশালীরা বনাঞ্চলের জায়গা দখল করে পাকা ইমারত নির্মাণ করেছিল।
উপকূলীয় বনবিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রহমান জানান, এ যাবত কালের সবচেয়ে বড় এ অভিযানে এসিএফ আবুল কালাম আজাদ ছাড়াও আট জন রেঞ্জ অফিসার এবং শতাধিক সশস্ত্র ফরেস্ট গার্ড অংশ নেন। বনবিভাগের মূল্যবান জমি দখলের সাথে জড়িত ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।