১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ২৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ২০ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন

মজুরী বৈষম্যতায় ভুগছে নারী শ্রমিক

ILO_1--Home

পুরুষের মতো আমরা মাটি কাটি, ইট ভাঙ্গি, আমন বোরো, আউশ, চারা রোপন করি, এমনকি ধান কেটে তা মাড়িয়ে ঝাড়িয়ে গোলায় তুলে দিয়। আবার সে ধান ঢেকিতে বেধে পুরুষদের রান্না করে খাওয়াই। তথাপিয় আমরা তাদের মতো মজুরী পাই না। যে কারণে পুরুষ শাসিত এ সমাজ ব্যবস্থায় আমাদের জিম্মি হয়ে অভাব অনটনে মানবেতর দিনযাপন করতে হচ্ছে। নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করে এমনটাই মতামত ব্যক্ত করলেন জালিয়াপালং ইউনিয়নের জুম্মাপাড়া গ্রামের রাস্তার সংস্কার কাজে নিয়োজিত নারী শ্রমিক খদিজা বেগম(৪৫)।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মহিলাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিক চাকুরীতে নিয়োগ প্রদান করে তাদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়ার ধারাবাহিকতায় নারীরা সর্বক্ষেত্রে ভূমিকা রেখে দায়িত্বপালন করতে সক্ষম হলেও মজুরী ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকেরা বৈষম্যতার শিকার হয়ে আসছে। বিশ্ব নারী দিবসে উপজেলা প্রশাসন ডাক ঢোল পিটিয়ে নারীদের বাস্তব সম্মত অধিকার বাস্তবায়নের সভা সমাবেশ ও মানববন্ধনের মতো কর্মসূচী পালন করলেও কার্যত কিছুই হচ্ছে না। উপরোন্তু সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে নারীরা নির্যাতন শিকার হয়ে আসছে। সম্প্রতি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস কর্তৃক বাস্তবায়িত হতদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচীর কয়েকটি প্রকল্প ঘুরে দেখা যায়, নারী শ্রমিকের অস্থিত্ব নেই। অথচ সরকারি ভাবে ৩০ শতাংশ নারী শ্রমিক প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
উপজেলা নিমার্ণ শ্রমিক সমবায় সমিতির সভাপতি নুরুল কবির অভিযোগ করে জানান, উপজেলার অজপাড়া গায়ে শত শত নারী শ্রমিক হাঁড় ভাঙ্গা শ্রম দিয়ে পুরুষের সাথে পাল্লা দিয়ে শ্রমের কাজ করছে। অথচ ঐ নারী শ্রমিকেরা দৈনিক মজুরী পাচ্ছে সর্বোচ্চ দেড়শ টাকা। ঘিলাতলী গ্রামের হোটেল শ্রমিক আনোয়ারা বেগম(৩৫) জানান, সে বিভিন্ন হোটেলে সারাদিন মরিচ, মসল্লা পিষানো সহ রান্না বান্নার কাজ করে দৈনিক মজুরী পান একবেলা আহারসহ সর্বোচ্চ দু’শ টাকা। অথচ একজন পুরুষ হোটেল শ্রমিক ৮ঘন্টা চাকুরী করে একবেলা আহার সহ ৪শ টাকা মজুরী পাচ্ছে। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিরিন আকতার নারীরা মজুরী বৈষম্যের শিকার হচ্ছে একথার সত্যতা শিকার করে বলেন, নারী শ্রমিকদের অধিকার বাস্তবায়নের মাধ্যমে বৈষম্যতা দূরীকরণের জন্য সরকার কাজ করছে। এখনো অজ্ঞতার কারণে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারীরা বাধা প্রাপ্ত হলেও আগামীতে তা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।