১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১ পৌষ, ১৪৩২ | ২৪ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন

বিসিবি সভাপতি পদ ছাড়ছেন পাপন?

নাজমুল হাসান পাপন কি বিসিবি সভাপতি ছাড়ার কথা ভাবছেন? তিন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ আঁকরে ধরে তাল মেলাতে পারছেন না। তাই তার মুখে কিছু একটা ছেড়ে দেয়ার আভাষ। তবে সেটা কোন পদ তা অবশ্য খোলসা করেননি বিসিবি প্রধান।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। পাশাপাশি দেশের অন্যতম কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদের একজন সদস্যও। একসঙ্গে তিনটি দায়িত্ব পালন করে রীতিমতো যান্ত্রিক জীবনযাপন করছেন তিনি। তাই আভাষ দিলেন এবার হয়তো কিছু একটা ছাড়তে যাচ্ছেন তিনি। হয়তো বা সেটা বিসিবির সভাপতি পদই।

আগের দিন আইসিসির বার্ষিক সভা শেষে বাংলাদেশে ফেরেন পাপন। একদিন না যেতে আজই যেতে হচ্ছে ভারতে। হায়দারাবাদে ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্টের জন্যই যেতে হচ্ছে তাকে। সেখান থেকে ফিরে পেশাগত কাজে আবার যেতে হবে দেশের বাইরে। তাই টানা কাজের ভারে কিছুটা হলেও ক্লান্ত পাপন।

সোমবার নিজের কর্মস্থলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ক্লান্তির কথা জানিয়ে বললেন, ‘বিসিবি সভাপতির কাজটা উপভোগ করি। তবে চাকরি ও সংসদ সদস্য হিসেবে কাজটা কঠিন হয়ে গেছে। পরিবার থেকেও বলছে তিনটা কাজ করা অসম্ভব। আমার দায়িত্ব আছে আর ছয় মাস। এরপর এর মধ্য থেকে একটা ছাড়তে হবে।’

ভৈরব-কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ-৬) এলাকার সংসদ সদস্য নাজমুল হোসেন। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে নিজ এলাকায় তার দায়িত্বও অনেক। তবে বিসিবি সভাপতির দায়িত্বের পাশাপাশি চাকরির কারণে তাতে সময় দিতে পারছেন না পাপন।

‘আমি চাকরি করি আবার একটি এলাকার সংসদ সদস্যও। আমাকে সংসদে যেতে হয়। কিন্তু বিসিবি সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমি সংসদে যেতে পারছি না। আর এলাকার কাজে একদমই সময় দিতে পারছি না। চাকরিতে আগে যে পরিমাণ সময় দিতাম, এখন তার অর্ধেকও সময় দিতে পারি না।’

চলতি বছরের শেষ দিকে নির্বাচনের মাধ্যমে ঠিক হবে নতুন বোর্ড সভাপতি ও নির্বাহী পর্ষদ। সে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি-না জানতে চাইলে নেতিবাচক মনোভাবই দেখান পাপন।

তবে বিসিবির অভ্যন্তরীণ খবর কিন্তু ভিন্ন। ক্রিকেটপাড়ায় জোর গুঞ্জন এবং ঢাকার ক্লাবপাড়ার খবর নাজমুল হাসান পাপনকে সভাপতি ধরেই বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের পরবর্তী কমিটির রূপরেখা তৈরি হচ্ছে। বলাবাহুল্য এ মুহূর্তে বিসিবির গঠনতন্ত্রে ভোটার তথা কাউন্সিলরদের বড় অংশই ঢাকার ক্লাবপাড়ার। সেখানে পাপনের অবস্থা অত্যন্ত সুসঙ্ঘত এবং বর্তমান বোর্ডেও তার অবস্থান মজবুত। তার শীর্ষ পদে থাকা নিয়ে বর্তমান পরিচালকদের মধ্যে কোনো দ্বিমত নেই।

তারচেয়েও বড় কথা ‘হাই প্রোফাইল’ প্রার্থী সাবের হোসেন চৌধুরী এর আগেরবার নির্বাচনের ইচ্ছা প্রকাশ করে আর দাঁড়াননি। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যস্ত সাবের চৌধুরী। নতুন করে প্রার্থী হওয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। সেসব বিবেচনায় নাজমুল হাসান পাপনের বিসিবি ছাড়ার তেমন কোনো কারণই নেই।

তবে তিনি যে ইঙ্গিত দিয়েছেন তা বিসিবি সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর- তা বিশ্বাস করা কঠিন। বর্তমানে তিনিই বাংলাদেশের ক্রিকেটের সর্বেসর্বা। সে অর্থে তার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী আপাতত নেই বা থাকলেও তা প্রায় নিষ্ক্রিয়। তবে সরকারের শীর্ষপর্যায় থেকে যদি তাকে অন্যত্র কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেয়া হয় তাহলে ভিন্ন কথা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।