২৩ অক্টোবর, ২০২৫ | ৭ কার্তিক, ১৪৩২ | ৩০ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি পুতিন

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি হিসেবে এক নম্বরে রয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে আমেরিকার নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জার্মান চান্সেলর এঙ্গেলা মেরকেল। আমেরিকান সাময়িকী ফর্বসের ২০১৬ সালের তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ৭৪জনের নাম উঠে এসেছে। এই তালিকায় ৭৪ জনের মধ্যে রয়েছেন মাত্র ছয়জন নারী।
খবর: বিবিসির।

এ বছরের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে এমন সময়ে যখন বিশ্ব একটা দ্রুত ও ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এবং এই তালিকায় শীর্ষ স্থানে যারা উঠে এসেছেন ফর্বসের বিচারে আগামী কয়েক বছর বিশ্বের ঘটনাবলির নানা ক্ষেত্রে তারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবেন।

কিন্তু তাদের তালিকায় ৭৪ জন ব্যক্তিত্ব কেন? কারণ বিশ্বের প্রতি ১০কোটি জনগণের জন্য তারা ক্ষমতাশালী একজনকে তালিকাভুক্ত করেছে। তাই বিশ্বের ৭৪০কোটি জনগণের ক্ষমতার প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন ৭৪ জন।

এ নিয়ে পরপর চার বছর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফর্বসের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তিদের তালিকায় শীর্ষ স্থান পেলেন। তাদের কথায় তার নিজের দেশ, সিরিয়া এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সবক্ষেত্রেই পুতিন যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন।

দ্বিতীয় স্থান পাওয়া ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কোনো কেলেঙ্কারি, কোনো সমালোচনা স্পর্শ করতে পারেনি, ক্ষমতায় বসার পথে তার জয়যাত্রা ছিল অব্যাহত। কংগ্রেসের উভয় কক্ষই এখন তার নিয়ন্ত্রণে এবং অর্থসম্পদের দিক দিয়ে তিনি কোটিপতি।

তৃতীয় স্থানে এঙ্গেলা মেরকেল এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর নারী এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মেরুদণ্ড।

ফর্বস বলছে এই তালিকা তৈরির জন্য তারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার কয়েকশ ব্যক্তির নাম বিবেচনায় নিয়েছিল এবং চারটি বিষয়ে এদের যোগ্যতা বিচার করে তালিকায় এদের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।

প্রথম তারা দেখেছেন বিশ্বের কত মানুষের ওপর তাদের ক্ষমতা বিস্তৃত। যেমন পোপ ফ্রান্সিস, এই তালিকায় যিনি পাঁচ নম্বরে স্থান পেয়েছেন, তিনি বিশ্বের একশ কোটির বেশি ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীর আধ্যাত্মিক নেতা।

অথবা ২৭ নম্বরে থাকা ডাগ ম্যাকমিলান যিনি ওয়ালমার্ট নামে বিপণীকেন্দ্রের মূল নির্বাহী কর্মকর্তা সেই প্রতিষ্ঠানে তার অধীনে বিশ্বব্যাপী কর্মীর সংখ্যা ২৩ লাখ, অর্থাৎ ক্ষমতার দিক দিয়ে তিনি নিয়ন্ত্রণ করেন ২৩ লাখ মানুষকে।

এরপর দেখা হয় এদের বিত্ত বা অর্থসম্পদের ক্ষমতা। সেই বিচারে তাদের অবস্থান। এখানে ব্যক্তিগত অর্থসম্পদ ছাড়াও তাদের অন্যান্য মূল্যবান সম্পদও হিসাবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে, যেমন সৌদি আরবের বাদশা সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সাউদের ব্যক্তিগত অর্থসম্পদ ছাড়াও বিশ্বের ২০ শতাংশ তেলের মজুতের নিয়ন্ত্রক তিনি।

এরপর বিচার করা হয় একাধিক ক্ষেত্রে এরা কতটা ক্ষমতাশালী। যেমন কেউ হয়ত একাই মোটরগাড়ি, বিমান এবং প্রযুক্তিসহ নানা ক্ষেত্রে ক্ষমতাধর। একাধিক ক্ষেত্রে ক্ষমতাবানদের স্কোর এতে অনেক উঁচুতে উঠেছে।

সবশেষ ফর্বস দেখেছে এইসব ব্যক্তি তাদের ক্ষমতা কতটা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পেরেছেন। যেমন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিং জন উন তার দেশের ২৫ কোটি মানুষের উপর তার ক্ষমতা ব্যবহার করেন। ফর্বসের সম্পাদকদের একটি প্যানেল এই চারটি দিক বিবেচনা করে তাদের চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।