২৪ অক্টোবর, ২০২৫ | ৮ কার্তিক, ১৪৩২ | ১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

বিশ্বের প্রথম আলো বিকিরণকারী ব্যাঙ

বিশ্বে এই প্রথম একটি ব্যাঙের খোঁজ মিললো যার শরীর থেকে আলোর বিকিরণ ঘটে। প্রতিপ্রভা এই ব্যাঙটি পাওয়া গেছে আর্জেন্টিনার অ্যামাজন অববাহিকায়।

বুয়েন্স আয়ার্সের বার্নার্দিনো রিভাদাভিয়া ন্যাচারাল সায়েন্সেস মিউজিয়ামের বিজ্ঞানীরা এই ব্যাঙের আবিষ্কারক। তারা মূলত পোলকা-ফোঁটাযুক্ত এক ধরনের প্রজাতির গেছো ব্যাঙের খোঁজ করছিলেন। সেই খোঁজাখুঁজিতেই আচমকা পেয়ে যান প্রতিপ্রভা ব্যাঙটি।

সাধারণ আলোতে ব্যাঙটিকে ম্যাটমেটে ধুসর-সবুজাভ মনে হবে গায়ে লাল ছোট ছোট ফোটা। কিন্তু ঝকঝকে অতি বেগুনী আলোকরস্মি পড়লে এটি উজ্জ্বল সবুজ রঙ ধরে। আর গা থেকে আলো বিকিরিত হতে থাকে।
প্রতিপ্রভা- যা স্বল্প দূরত্ব থেকে অালো ধারণ করে অপেক্ষাকৃত বৃহত্তর দূরত্বে তার বিকিরণ ঘটাতে সক্ষম, এমন প্রাণীর সংখ্যা পৃথিবীতে বিরল।

গত ১৩ মার্চ বিজ্ঞানীরা তাদের এই আবিষ্কারের খবরটি প্রকাশ করেন ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেস এর প্রকাশনায়। তাতে তারা বলেছেন, ব্যাঙটির শরীর থেকে বিকিরণের ফলে এর চারিদিকে সাধারণ আলো ১৯ থেকে ২৯ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়।

পোলকা-ফোঁটাযুক্ত গেছো ব্যাঙের নীল-সবুজাভ ব্যাঙগুলোর মাঝেই হঠাৎ বিজ্ঞানীরা বাড়তি আলোর বিচ্ছুরণ দেখতে পেলেন আর পেয়ে গেলেন এই বিরল ব্যাঙটিকে।

এই আবিষ্কারের পর বিজ্ঞানীরা উভচর এই প্রাণিটির মধ্যে আরও এমন প্রতিপ্রভার সন্ধান পাওয়ার প্রত্যাশা করছেন। বিশেষ করে এই ব্যাঙটির মতো আলোকপ্রবাহী ত্বকের গেছো ব্যাঙ এই অঞ্চলে আরও থাকতে পারে বলেই ধারণা তাদের।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখন থেকে যারা জঙ্গলে যাবেন তারা সাথে করে অতি বেগুনী আলোর ফ্ল্যাশ লাইট নিয়ে গেলে ভালো করবেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।