১১ মে, ২০২৪ | ২৮ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২ জিলকদ, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  রামুর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায়  আসছে চোরাই গরু   ●  রামুতে ওসির আশকারায় এসআই আল আমিনের নেতৃত্বে ‘সিভিল টিম’   ●  ড. সজীবের সমর্থনে বারবাকিয়ায় পথসভা   ●  কক্সবাজারে শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট রোবায়েত    ●  উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গলা কেটে হত্যা   ●  বাহারছরা পুলিশের অভিযানে হত্যা চেষ্টা মামলার তিন আসামি গ্রেফতার   ●  নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে কচ্ছপিয়ার নোমান চেয়ারম্যানের হুমকি   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র ৬ষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ

চকরিয়ায় আওয়ামী লীগের সংবাদ সম্মেলন

‘বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরাই অস্ত্রবাজি, প্রশাসনের গাড়ি ভাঙচুর করেছে’

বার্তা পরিবেশক:
মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাদÐপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে গত ১৫ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়ায় সংঘাত-সহিংসতার সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ বা কোন সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে কোন অস্ত্রবাজি করা হয়নি। জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সশস্ত্র সন্ত্রাসীরাই ওইদিন প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ বাহিনীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলা ও তাদের ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি ভাঙচুর করার খবর পেয়ে বিকেল সাড়ে চারটার পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি মিছিল নিয়ে বের হয় পৌরশহরের মহাসড়কে। কিন্তু তার আগেই মহাসড়ক থেকে আধ কিলোমিটার দূরে বায়তুশ শরফ সড়কের মাঝামাঝি স্থানে ফোরকানুল ইসলাম নামের একজন নিরীহ ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির সন্ত্রাসীরা। সেই হত্যাকাÐকে আওয়ামী লীগের ওপর চাপিয়ে দিয়ে শান্ত চকরিয়াকে অশান্ত করার মিশনে নেমেছে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগষ্ট)  বিকেলে পৌরশহরের চিরিঙ্গা জনতা মার্কেটস্থ উপজেলা ও পৌরসভা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- পুরোনো একটি ছবিকে এডিটেড করে ঘটনার পর দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াতেরই একটি মিডিয়া সেল। এমনকি কিছু প্রচার মাধ্যমে সেই ছবিকে সত্য ধরে নিয়ে এবং অস্ত্র তাক করা ব্যক্তিটি পৌর যুবলীগের সাত নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি বেলাল উদ্দিনের বলে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ ওই ব্যক্তি কোনভাবেই বেলাল উদ্দিন নন। এই অবস্থায় বেলাল উদ্দিন নিজে এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের জীবনহানির শঙ্কা দেখা দিয়ে দিয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়- জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ওইদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সংসদ সদস্য জাফর আলমের নেতৃত্বে পুরো চকরিয়ায় নানা কর্মসূচী নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। বিকেল চারটার দিকে খবর পান সাঈদীর গায়েবানা জানাজা ঘিরে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টি শুরু করেছে। তখনই মূলত ফোরকানুল ইসলাম হত্যাকাÐটি সংঘটিত হয়। এর পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তি মিছিল নিয়ে মাঠে নামলে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা যুবলীগ নেতা বেলাল উদ্দিন বলেন, ‘ওইদিন আমি পৌরশহরের চিরিঙ্গার শান্তি মিছিলেও উপস্থিত ছিলাম না। মূলত সকাল থেকেই হলুদ পাঞ্জাবী ও সাদা পায়জামা পরে আমি ছিলাম চিরিঙ্গা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরের গ্রীণ ভ্যালী কমিউনিটি সেন্টারে। যেখানে শোক দিবস উপলক্ষে গণভোজের আয়োজন চলছিল। এর পর থেকে একই পোশাকে আমি বিভিন্নস্থানে যাই। যেসব জায়গায় আমি গিয়েছি, সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজও সংরক্ষিত আছে। অথচ আমাকে অস্ত্রবাজ আখ্যা দিয়ে গণমাধ্যমে তুলে ধরায় আমি এবং পরিবার সদস্যরা জীবনহানির শঙ্কায় রয়েছি। আমি এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপনসহ গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন চকরিয়া পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু মুছা, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা বশিরুল আইয়ুব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তানভীর আহমদ সিদ্দিকী তুহিন, পৌরসভার সাধারণ সম্পাদক লায়ন আলমগীর চৌধুরী, ফরিদুল আলম, হুমায়ুন কবির, আরিফ মঈনুদ্দীন রাসেলসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।