১৬ জুন, ২০২৫ | ২ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৯ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  কক্সবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সিরাজুল হক ডালিম’র সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

বাকঁখালী নদীর সব অবৈধ দখলদারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত উচ্ছেদের দাবী

index
বাকঁখালী নদীর সব অবৈধ দখলদারদের জেলা প্রশাসন কর্তৃক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত এবং এসব দখলদারদের দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদের আবেদন জানিয়ে লিখিত পত্র দিয়েছে কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ। গতকাল ৮ মার্চ জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেনের হাতে এ পত্রটি তোলেদেন পরিষদের নের্তৃবৃন্দ। জেলা প্রশাসক আবেদনটি গ্রহণ করে জরুরী ভিত্তিতে বাকঁখালী নদীতে সব দখলদারদের তালিকা তৈরী করে জেলা প্রশাসক কার্যলায়ে জমাদেয়ার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশদেন।
লিখিত এ পত্রে বলা হয়েছে, বাকঁখালী হচ্ছে কক্সবাজার জেলার প্রধান নদী। এ নদীর উপর অন্তত ৭ লাখ মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। এ ছাড়া বিভিন্ন ভাবে আরো কয়েক লাখ মানুষ নির্ভরশীল। তাই সাধারণ জনগণের স্বার্থে যে কোন ভাবে এ নদীটি রক্ষা করা প্রয়োজন। অথচ জনগুরুত্বপুর্ণ বাকঁখালী নদীটি অবৈধভাবে দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তোলছে কতিপয় প্রভাবশালী। আবার অনেকেই নদী ভরাট করে আবাসন প্লট তৈরী করে বিক্রি করছে। এসব বিবেচনায় নিয়ে নদীটি রক্ষায় গত বছর হাইকোর্টে একটি মামলা দয়ের করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি  ( বেলা )। তারই প্রেক্ষিতে আদালত বাকঁখালী নদীর সীমানা নির্ধারণ, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও বর্জ্য ফেলা বন্ধসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়ে একটি রুল জারি করে। কিন্তু আদালতের নির্দেশে জেলা প্রশাসন কর্তৃক অবৈধ দখলদারদের তালিকায় অধিকাংশ প্রভাবশালী দখলদার রহস্যজনক কারণে বাদ পড়ে গেছে। এতে ভবিষ্যতে বাদ পড়া দখলদারদের উচ্ছে করা কঠিন হয়ে পড়বে। অথচ বাদ পড়া এসব দখলদারদের অনেকেই ইতিপুর্বে উপকুলীয় বন বিভাগের তৈরী করা তালিকায় স্থান পেয়েছে। তাই কক্সবাজারের ঐকিহ্যবাহী বাকঁখালী নদী রক্ষার স্বার্থে সব দখলদারদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের উচ্ছেদ করার দাবী জানিয়েছে কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদ। পরিষদের পক্ষে পত্র প্রদান করেন কক্সবাজার বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি দীপক শর্মা দীপু, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল মামুন, কক্সবাজার রিপোটার্স ইউনিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাংলার সম্পাদক চঞ্চল দাশ গুপ্ত। এসময় জেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ফাইল ছবি

 

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।