৬ নভেম্বর, ২০২৫ | ২১ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

বাইশারীতে মিথ্যা মামলায় জামিন পেলেন সংবাদকর্মী সহ ছয় নিরহ ব্যক্তি

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে মিথ্যা মামলায় জামিন লাভ করেছেন দৈনিক প্রিয় চট্টগ্রাম, দৈনিক হিমছড়ি ও দৈনিক সচিত্র মৈত্রী প্রতিনিধি মুফিজুর রহমান সহ ছয় নিরহ ব্যক্তি। ৭ ডিসেম্বর বুধবার বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত থেকে আইনজীবিদের যুক্তি তর্ক শেষে মহামান্য আদালত ছয় নিরহ ব্যক্তিকে জামিনে মুক্তি দেন। জামিন প্রাপ্তরা হলেন মধ্যম বাইশারী গ্রামের মোঃ আশরাফুজ্জামান, মোঃ ইউছুফ, মোঃ ইউনুছ, সংবাদ কর্মী মুফিজুর রহমান, মহিউদ্দিন ও জহির উদ্দিন।
মামলা বিবরণে জানা যায়, গত ২৭ আগষ্ট ২০১৬ইং রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় বাদী মৃত মাষ্টার সাব্বির আহামদের পুত্র এমদাদুল্লাহ অভিযোগে উল্লেখ করেছেন জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে তার ভাই বোনদের মারধর করে এবং টানা হেঁচড়া করে কাপড় চোপড় ছিঁড়িয়ে ফেলে। এছাড়া মারধরের উদ্দেশ্যে দা, লোহার রড সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে তার বোন ও ছোট ভাইকে আহত করে এবং হত্যার উদ্দেশ্যে তার ভাইকে হুমকি দিয়ে আসছিল মর্মে গত ৫ ডিসেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় একখানা মামলা দায়ের করা হয়। এতে আসামী করা হয়েছে স্কুল পড়–য়া শিশু ছাত্র, সংবাদকর্মী সহ সাতজন পরস্পর আত্মীয়স্বজনদের। উক্ত মিথ্যা সাজানো মামলায় এলাকার শত শত লোকজন হতবাক হয়ে পড়েন। পাশাপাশি মামলা প্রত্যাহার সহ সুষ্ঠ তদন্তের দাবীও জানান এলাকার সুশীল সমাজ সহ স্থানীয়রা।
এই প্রতিবেদক সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে ঘটনাস্থলের আশপাশের গ্রামবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পশ্চিম নারিচবুনিয়ায় ২৭ আগষ্ট ২০১৬ইং রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকার সময় হইতে এই রিপোর্ট পাঠানো পর্যন্ত এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। মামলা বিবরণীতে উল্লেখ করেছেন বাদীর পিত্রালয় বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এলাকাবাসীর ভাষ্য অনুযায়ী বাদীর কোন পিত্রালয় উক্ত ঘটনার স্থলে আগেও ছিল না এখনো নেই। তার বাবার পিত্রালয় রয়েছে মধ্যম বাইশারীতে। তাছাড়া উক্ত মামলার বাদী এমদাদুল্লাহ বাইশারীতে স্থায়ীভাবে বসবাস করে না বলে স্থানীয়রা জানান। তবে তাকে মাঝে মধ্যে বাইশারীতে এসে ঘুরাফিরা করতে দেখা যায় বলে অনেকেই জানান।
সরজমিনে গিয়ে আরো জানা যায়, মামলায় হয়রানী শিকার আশরাফুজ্জামানের পৈত্রিক সম্পত্তি দখলে নিতে এই মামলা এবং রাতের আঁধারে নিজেরা জমি দখল করে উল্টো মামলা করা হয়েছে। উক্ত ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চারও লক্ষ্য করা গেছে। উক্ত ঘটনায় আশরাফুজ্জামান বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালত বান্দরবানে ০৮/০৮/২০১৬ ইং তারিখ ১৪৪ ধারা চেয়ে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত উক্ত জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করার পর এমদাদুল্লাহ সহ তার দলবল আদালতের আদেশ অমান্য করে উক্ত জমিতে অবৈধ অনুপ্রবেশ করে আইন ভঙ্গ করে এখন নিজেদের বাঁচাতে একখানা মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করেছেন বলে স্থানীয়দের অভিমত। এলাকাবাসী উক্ত মিথ্যা সাঁজানো মামলার সুষ্ঠ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।