৫ অক্টোবর, ২০২৫ | ২০ আশ্বিন, ১৪৩২ | ১২ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন

বদরখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি কর্তৃক সংবাদকর্মী লাঞ্চিত?


চকরিয়ার বদরখালীর প্রাণ কেন্দ্রে অবস্থিত বদরখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে চরম অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জের ধরে চকরিয়ার কর্মরত সংবাদকর্মীকে লাঞ্চিত করেছে দূর্ণীতিবাজ উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের স্বামী ও বিদ্যালয়ের সভাপতি মাস্টার আবুল হাশেম।
জানা যায়, গত ১০ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক রূপালী সৈকত পত্রিকায় তথ্যানুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদের ইসুকে কেন্দ্র করে গতকাল ১১ ফেব্রুয়ারী শনিবার সন্ধ্যা ৬.৩০ ঘটিকার সময় পেশাগত দায়িত্বপালন শেষে বাজার ফেরার পথে বদরখালী বাজারের আসলে মাস্টার আবুল কাশেম ইউনিয়ন পরিষদের সামনে উক্ত কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের সদস্য ও দৈনিক রূপালী সৈকতের উপকুলীয় প্রতিনিধি আল জাবের কে ধরে নিয়ে গিয়ে শাররীক ভাবে লাঞ্চিত করে।
এ সময় তার হাতে থাকা ক্যামরা কেড়ে নিতে চাইলে স্থানিয় জনগন এগিয়ে এসে তাকে হাশেমের হাত থেকে উদ্ধার করে বলে জানান সংবাদকর্মী জাবের। এ সময় কোন পত্রিকায় তাহাদের বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রকাশ হলে কাউকে ছাড়বেনা বলে শাষিয়ে দেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, গত ৪ জানুয়ারী বদরখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) সেতারা পারভীন উক্ত বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাস্টার আবুল হাশেমের স্ত্রী হওয়ার সুবাদে বিদ্যালয়ের সরকারী প্রদত্ত স্লিপের টাকা, সজ্জিত করণের টাকা, প্রাক প্রাথমিকের সরাঞ্জামের টাকা সহ বিদ্যালয়ের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করার বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করলে উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারী বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক স্বামী-স্ত্রী হওয়ায় টাকা আত্মসাতের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এমন অভিযোগ উঠে দীর্ঘদিন ধরে। স্থানিয় সংবাদ মাধ্যমে অনেক সময় লেখা লেখির পরও বর্তমান উপজেলা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তার কোন কিছুই হয়নি, বরং স্বামী-স্ত্রীর ব্যবসা প্রতিষ্টানে পরিনত হয়েছে এমন অভিযোগ স্থানিয়দের।
স্থানীয় চেয়ারম্যন খাইরুল বশর সংবাদকর্মী লাঞ্চিত হবার বিষয়টি অবগত হয়েছেন বলে জানান।
সাংবাদকর্মীকে লাঞ্চিত করা বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, সভাপতি কর্তৃক গণমাধ্যম কর্মী লাঞ্চিতের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ বিষয়ে তিনি অবহিত হয়েছেন। আর অভিযোগ পত্রের বিষয়ে সত্যতা স্বীকার করে বলেন তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
দুর্ণীতিবাজ ও দাপুটে সভাপতি মাস্টার আবুল হাশেমের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন না করলে সাংবাদিকরা লেখনি ও আন্দোলনের মাধ্যমে এর সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে জানান চকরিয়ায় কর্মরত সাংবাদিক ও ককক্সবাজার জেলা উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের নেতারা।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।