৬ নভেম্বর, ২০২৫ | ২১ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৪ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্থানে স্থাপিত হবে স্মৃতিফলক

রাজধানী ঢাকার সুপরিসর নগর উদ্যান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ডাক দেওয়া ভাষণ এবং ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ের দলিলে স্বাক্ষরের ঘটনা ঘটেছিল এখানেই। এ কারণে ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনা করে সরকার স্থান দু’টি চিহ্নিত করেছে। ওই দু’টি স্থানে ছোট্ট করে ফলকও লাগানো হয়েছে। তবে উদ্যানে গেলেওই ফলকগ দু’টি সহসা চোখে পড়ে না, খুঁজে বের করতে হয়। নতুন প্রজন্মের কাছে ওই স্থান দু’টির গুরুত্ব তুলে ধরতে সরকার স্মৃতিফলক স্থাপনসহ আনুষাঙ্গিক আয়োজনের পরিকল্পনা করছে।
জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সাজাতে সরকার যে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে সেখানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্থান এবং পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানে তথ্যবহুল স্মৃতিফলক নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। স্মৃতিফলকগুলো এমনভাবে স্থাপন করা হবে যেন সেখানে গেলে যেকোনও মানুষ খুব সহজেই ওই স্থানগুলোর সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্যগুলো জানতে পারেন। পাশাপাশি উদ্যানের ভেতরে থাকা শিশুপার্কও আধুনিক করা হবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন সোমবার (৬ মার্চ) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সোহওয়ার্দী উদ্যানকে সাজাতে আমাদের আড়াইশ’ কোটি টাকার একটা প্রকল্প রয়েছে। এ জন্য ডিপিপি তৈরি করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এটা অনুমোদন পেলে কাজ শুরু হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চেহারাই পাল্টে যাবে।’
গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সোহওয়ার্দী উদ্যানের যে স্থানটিতে বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন এবং যেখানে পাকিস্তানি বাহিনী সারেন্ডার করেছিল, সেখানে স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হবে। এর পাশে থাকবে সুন্দর লেক।’ তবে উদ্যানে অবস্থিত শিশুপার্কের দোকান সরিয়ে এর আধুনিকায়ন করা হবে বলে জানান তিনি।
স্বাধীনতার পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সবুজে ঘেরা পার্কে পরিণত করা হয়। ১৯৭৫ সালের পর উদ্যানের উত্তর পাশে নির্মাণ করা হয় শিশুপার্ক। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্বাধীনতা সংক্রান্ত ঘটনাগুলোকে স্মরণীয় করে রাখতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নতুন করে সাজানোর জন্য ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ নির্মাণ প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। প্রকল্পের দুই পর্বে প্রায় তিনশ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। ১৯৯৯ সালে এখানে শিখা চিরন্তন স্থাপন করা হয় এবং পরে নির্মাণ করা হয় স্বাধীনতা টাওয়ার। একটি কৃত্রিম লেকও খনন করা হয়েছে। ঐতিহাসিক এই উদ্যানে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।