১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১ পৌষ, ১৪৩২ | ২৪ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজার শত্রুমুক্ত দিবস ১২ ডিসেম্বর   ●  বৌদ্ধ সমিতি কক্সবাজার জেলা কমিটি গঠন সভাপতি অনিল, সম্পাদক সুজন   ●  সভাপতি পদে এগিয়ে ছাতা প্রতিকের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন কনট্রাক্টর   ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন

ফেঁসে যেতে পারেন সানির স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা


জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির স্ত্রী দাবিদার নাসরিন সুলতানা ফেঁসে যেতে পারেন। কারণ কাবিনানামা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। আরাফাত সানির সঙ্গে যে কাজী অফিসে বিয়ে পড়ানোর কথা নাসরিন সুলতানা ইতি বলেছেন, সেই ঠিকানায় গিয়ে পাওয়া গেছে একটি মাংসের দোকান। ফলে কাবিনানামা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধুম্রজাল। এমনকি আদালতে যে কাবিননামা জমা দেয়া হয়েছে, সেটি নিশ্চিতভাবে ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় এবং কাজীর সঙ্গে কথা বলার পর উল্টো ফেঁসে যেতে পারেন নাসরিন সুলতানা ইতি। এমনটাই জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।

কাবিননামায় যে ঠিকানা দেয়া রয়েছে কাজী অফিসের, সেখানে কোনো কাজী অফিস নেই। রয়েছে মাংসের দোকন। দোকানটির নাম ভাই ভাই গোস্তের দোকান। দোকানটির ডানে রয়েছে একটি ওয়েল্ডিং ওয়ার্কসপ, নাম আক্তার ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ। বাম দিকে রয়েছে একটি দন্ত চিকিৎসকের চেম্বার, আর ওপরে রয়েছে উম্মে হাবিবা মহিলা মাদরাসা নামে একটি মাদরাসা। এর আশপাশেও কোনো কাজী অফিসের অস্তিত্ব নেই। আদালতে সানির আইনজীবীরা ইতির সঙ্গে বিয়ের কথা অস্বীকার করলে ইতির আইনজীবীরা আদালতে একটি কাবিননামা দাখিল করেন। সেই কাবিননামায় কাজী অফিসের ঠিকানা লেখা রয়েছে ২০/সি, মেরাদিয়া, খিলগাঁও, ঢাকা।

কাবিননামায় যে কাজীর সীল ও স্বাক্ষর ব্যবহার করা হয়েছে তার নাম কাজী মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি গোড়ান, বনশ্রী এলাকার কাজী। তার অফিসের ঠিকানা ৬৫, উত্তর গোড়ান। তিনি বলেন, তিনি কখনোই মেরাদিয়া এলাকার কাজী ছিলেন না। তাই এই বিয়ে তিনি রেজিস্ট্রি করার প্রশ্নই ওঠে না। অসংগতি রয়েছে কাবিননামায় ব্যবহৃত ভলিউম নম্বরেও। দাখিলকৃত কাবিননামার ভলিউম নম্বর ৫৬। ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজী মো. সলিম উল্লাহ জানান, ২০১৪ সালে তাদের ব্যবহৃত ভলিউম নম্বর ছিল ১০০-১০৬। তিনি আরো জানান, প্রতি বছর ৬টি বা ৭টি কাবিননামার বই ব্যবহৃত হয়। সে হিসাবে ৫৬ নম্বর বইটি ২০০৭ বা ২০০৮ সালে ব্যবহৃত হয়েছে।

এ ছাড়া কথিত সেই কাবিননামায় আরাফাত সানির বয়স লেখা হয়েছে ২৮ বছর। কিন্তু বিসিবিতে প্রদত্ত তার তথ্যে জন্ম তারিখ লেখা রয়েছে ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৮৬। সে হিসাবে ৪ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে তার প্রকৃত বয়স ছিল ২৯ বছর দুই মাসের কিছু বেশি। এরআগে একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইতি দাবি করেন, রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে সানির বন্ধু-বান্ধবদের উপস্থিতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে কোন এলাকার, কোন রেস্টুরেন্টে বিয়ে হয় তা তিনি উল্লেখ করেননি। উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারি নাসরিন সুলতানা ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করে এবং আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। কালেরকন্ঠ

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।