৩ নভেম্বর, ২০২৫ | ১৮ কার্তিক, ১৪৩২ | ১১ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ফুল ভাসিয়ে ‘বৈসাবি’ উৎসব শুরু

Full-Boishabi_thereport24-(

 


গড়াছড়িতে চেঙ্গী, ফেনী ও মাইনী নদীতে রবিবার ভোরে ফুল ভাসিয়ে শুরু হয়েছে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী সামাজিক ও প্রাণের উৎসব ‘বৈসাবি’।

ফুল বিঝুকে কেন্দ্র করে নদীর পাড়গুলো হাজারো তরুণ-তরুণীর মিলনমেলায় পরিণত হয়। পাহাড়ী সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণী, কিশোর-কিশোরী ও ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা হল্লা করে ফুল তুলে গঙ্গা দেবীর উদ্দেশে নদী-খালে ভাসিয়ে দেয়। তারা পুরাতন বছরের গ্লানি মুছে নতুন বছরের শুভ কামনায় নিজেদের পবিত্রতা কামনা করে।

ফুল বিজু, মূলবিজু ও বিচিকাতাল নামে নিজস্ব বৈশিষ্টতায় এ উৎসবে আনন্দের আমেজ ছড়ায় পাহাড়ী জনগোষ্ঠী। ত্রিপুরা ভাষায় এ উৎসবকে বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিজু বলা হয়। এ তিন সম্প্রদায়ের উৎসবের নাম একত্রে ‘বৈসাবি’ শব্দটির উৎপত্তি।

চাকমা সম্প্রদায় আজ ফুল বিজু পালন করছে। সোমবার মূল বিঝু আর পয়লা বৈশাখ বা গজ্জাপয্যা পালন করবে। ওই দিন ঘরে ঘরে চলবে অতিথি আপ্যায়ন। ত্রিপুরা সম্প্রদায় হারিবৈসু, বিযুমা, বিচিকাতাল এবং মারমারা পেইংচোয়ে, আক্যে ও আদাদা। মঙ্গলবার মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই উৎসবে ঐতিহ্যবাহী জলকেলি বা পানি উৎসব করবে। একই দিন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে হবে বর্ষবরণের র‌্যালি।

পাশাপাশি তঞ্চঙ্গ্যা, বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, ম্রো, খুমি, আসাম, চাক ও রাখাইনসহ ১৩ ক্ষুদ্র নৃ-জনগোষ্ঠী তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ও অবস্থানকে বৈচিত্র্যময় করে তুলতে প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিন থেকে ‘বৈসাবি’ উৎসব পালন করে থাকে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।