৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ | ২১ ভাদ্র, ১৪৩২ | ১২ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ   ●  শিক্ষার্থীদের ভালোবাসায় সিক্ত কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান   ●  “প্লাস্টিক উৎপাদন কমানো না গেলে এর ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনা সম্ভব নয়”   ●  নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে কক্সবাজারে তাঁতীদলের খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন   ●  বৃহত্তর হলদিয়া পালং বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ মেম্বারের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  মরিচ্যা পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা   ●  রামুতে বনবিভাগের নির্মাধীন স্থাপনা উচ্ছেদ নিয়ে প্রশাসন ও বনকর্মীদের মাঝে প্রকাশ্যে বাকবিতন্ডা   ●  সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নুরের মৃত্যুতে জেলা বিএনপির শোক   ●  চুরি করতে গিয়ে পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী ধর্ষণ   ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!

ফাঁসি কার্যকর

581
 মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসির রায় কার্যকর হয়েছে।

শনিবার রাত ১০টা ১ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মিত স্থায়ী ফাঁসির মঞ্চে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।

নিয়ম অনুসারে ফাঁসির রায় কার্যকর করার সময় উপস্থিত ছিলেন কারা প্রশাসনের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল  সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন,

অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক

কর্ণেল মো: ফজলুল কবীর,

উপ-কারা মহাপরিদর্শক গোলাম হায়দার, জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক ফরমান আলী, কারাধ্যক্ষ নেচার আলম,

ঢাকার জেলা প্রশাসক তোফাজ্জল হোসেন মিঞা, মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার শেখ নাজমুল আলম, ঢাকার সিভিল সার্জন আবদুল মালেক, কারা চিকিৎসক আহসান হাবিব প্রমুখ।

দ- কার্যকর করতে প্রধান জল্লাদ ছিলেন রানা। তারসঙ্গে ছিলেন জল্লাদ ফল্টু, রাজু ও শামছুসহ আরেকজন।

দ- কার্যকরের আগে কামারুজ্জামানকে গোসল করানো হয়।  গোসল শেষে নামাজ আদায় করেন তিনি। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে তওবা পড়িয়ে ফাঁসির মঞ্চে নেওয়া হয় তাকে। প্রথা অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক তাঁর হাতে রাখা একটি লাল রুমাল মাটিতে ফেললে প্রধান জল্লাদ ফাঁসির মঞ্চের লিভার (লোহার তৈরি বিশেষ হাতল) টেনে দেন। এতে পায়ের তলা থেকে কাঠ সরে ফাঁসি কার্যকর হয়।

রায় কার্যকর উপলক্ষে শনিবার বিকেল থেকেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বাইরে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য নিরাপত্তাব্যূহ গড়ে তোলেন। সঙ্গে ছিল পুলিশের সাঁজোয়া যান। কারাগারের বাইরে ফাঁসির খবর জানতে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমের শতাধিক সাংবাদিক।

একাত্তরে শেরপুরের সোহাগপুর গ্রামে ১৪৪ জনকে হত্যা ও নারী নির্যাতনের দায়ে ২০১৩ সালের ৯ মে কামারুজ্জামানকে ফাঁসির আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-২। এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করে আসামিপক্ষ। গত বছরের ৩ নভেম্বর সোহাগপুর হত্যাকা-ের দায়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতে কামারুজ্জামানের ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। চলতি বছরের ১৮ ফেব্র“য়ারি আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হলে ৫ মার্চ তা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন কামারুজ্জামান। এরপর দুই দফা শুনানি পেছানোর পর গত ৫ এপ্রিল রোববার আপিল বিভাগে ওই আবেদনের শুনানি হয়। পরে রায় ঘোষণার জন্য ৬ এপ্রিল সোমবার দিন ধার্য করেছিলেন সর্বোচ্চ আদালত। এদিন

রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে কামারুজ্জামানের করা আবেদন আপিল বিভাগ খারিজ করে দেন।

তবে এই বিচারের শুরু থেকেই জামায়াতে ইসলামীসহ আন্তর্জাতিকমহল বিচার-প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আসছে। বিশ্বের যেসব দেশে এখন আর মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় না, সেসব দেশও সর্বোচ্চ সাজার বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান জানিয়ে আসছিল।

মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে প্রথম ফাঁসি কার্যকর হয়েছিল জামায়াতের আরেক সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার। ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ হয় কাদের মোল্লার। ওই দিন রাত ১০টা ১ মিনিটে তাঁর ফাঁসি কার্যকর হয়।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।