৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১১ জমাদিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা   ●  ইয়াবার কথোপকথন ভাইরাল হওয়া ডালিম এখনো অধরা   ●  বৃত্তি পরীক্ষায় বিশেষ গ্রেড পেল খরুলিয়ার রোহান   ●  মরিচ্যা চেকপোস্টে ৪০ হাজার ইয়াবাসহ ভুয়া নৌবাহিনী সদস্য আটক   ●  উখিয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাক্তার আবুল কাশেমের ইন্তেকাল   ●  উখিয়ায় নিখোঁজের ৪দিনেও সন্ধান মেলেনি শিশু নুরশেদের   ●  উখিয়ায় প্রায় ৫ কোটি টাকার ইয়াবাসহ বাহক আটক, অধরা মাদক সম্রাট ছোটন ও মামুন   ●  ১৩ নভেম্বরকে ঘিরে কক্সবাজারে সতর্ক অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী   ●  কক্সবাজার ৪আসনঃ প্রার্থী চুড়ান্ত, তবুও মনোনয়ন বঞ্চিত আবদুল্লাহর সমর্থকদের বিক্ষোভ   ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন

প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে উখিয়ার নুরুল হকের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা

সম্প্রতি কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায়  ‘উখিয়ায় কনস্টেবল ছেলের প্রভাবে নুরুল হকের বেপরোয়া সাম্রাজ্য’ শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে- তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। উক্ত সংবাদে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিকৃত তথ্য উপস্থাপন করে আমার সামাজিক মর্যাদা ও ব্যক্তিগত সম্মানহানি করার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

আমি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি- আমি ও আমার পরিবার কোনো বন বা খাসজমি দখল, ডাকাতি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা মাদক কারবারের সঙ্গে কখনোই জড়িত নই। সংবাদে উত্থাপিত অভিযোগসমূহ সম্পূর্ণ বানোয়াট, মনগড়া ও বাস্তবতা বিবর্জিত। একটি স্বার্থান্বেষী মহল জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে এসব অপপ্রচার চালাচ্ছে।

প্রকৃত ঘটনা হলো, চিহ্নিত মাদক কারবারি শামসুল আলম দীর্ঘদিন ধরে আমার দোকান থেকে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সে এবং তার আশ্রয়দাতা একটি চক্র আমার ও আমার ছেলে- পুলিশ সদস্য সালাহউদ্দিনকে জড়িয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে। সংবাদে দাবি করা হয়েছে আমরা নাকি বনের জমি দখল করেছি, আমার ছেলে পুলিশের পরিচয় ব্যবহার করে মাদক পাচার করছে, আমি নাকি আওয়ামী লীগ নেতা এবং আমার ছেলে নাকি ছাত্রলীগ করত। এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর। একজন পুলিশ সদস্য কঠোর যাচাই- বাছাইয়ের মাধ্যমে চাকরি পান। এ কথা সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক ইচ্ছাকৃতভাবে উপেক্ষা করেছেন।

দুঃখজনকভাবে উক্ত প্রতিবেদক পূর্বে আমার কাছ থেকে ‘সংবাদের খরচ’ বাবদ আর্থিক দাবিও করেন। আমি নৈতিক কারণে তা প্রত্যাখ্যান করলে তিনি যাচাইবাছাই ছাড়া মিথ্যা তথ্য, ভুয়া কাগজপত্র ও ইচ্ছাকৃতভাবে তৈরি করা গল্পের ভিত্তিতে বিভ্রান্তিকর প্রতিবেদন পরিবেশন করেন। যা সাংবাদিকতার নীতিমালা ও পেশাদারিত্বের ঘোর বিরোধী।

আমি সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, সম্পাদক ও প্রতিবেদকের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি- উক্ত মিথ্যা, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মানহানিকর সংবাদটি অবিলম্বে প্রত্যাহার ও সংশোধন করা হোক। অন্যথায় আমার সম্মান ও অধিকার রক্ষায় আমি আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবো।

আমি প্রশাসন, বন বিভাগ, সাংবাদিক সমাজ ও সাধারণ মানুষের প্রতি অনুরোধ করছি- প্রকাশিত সংবাদে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকৃত নথিপত্র যাচাই করুন। কোনো তদন্ত হলে আমি আন্তরিকভাবে সহায়তা করতে প্রস্তুত।

এ ধরনের ভিত্তিহীন ও অপপ্রচারমূলক সংবাদের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যাকারী:
নুরুল হক
পিতা: সোলাইমান
বালুখালী ২নং ওয়ার্ড, পালংখালী উখিয়া, কক্সবাজার।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।