১০ নভেম্বর, ২০২৫ | ২৫ কার্তিক, ১৪৩২ | ১৮ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  চিকিৎসা বিজ্ঞানে উখিয়ার সন্তান ডাঃ আব্দুচ ছালামের উচ্চতর ডিগ্রী অর্জন   ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

‘পোষ-মীমাংসার মাধ্যমে কমতে পারে জেলার মামলার জট!

Ligel Aid
আপোষ-মীমাংসার মাধ্যমে কমতে পারে জেলার আদালতে জমে থাকা মামলার জট। আর তার জন্য প্রয়োজন আইনজীবীদের আন্তরিকতা। সেই সাথে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতাাও। জেলা জজ আদালতের ৬৫ হাজার মামলার জট কমাতে এমনি মত দিয়েছেন জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষ্যে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। সোমবার জেলা জজ আদালতের সম্মেলনে কক্ষে আয়োজিত ওই মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যুগ্ম-জেলা জজ মোঃ মাহবুবুর রহমান ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খান কায়সার।
জেলা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, জেলা আদালতে ৬৫ হাজার ৬৭০ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। তার মধ্যে ফৌজদারী মামলা ৩৯৭১৭ টি, দেওয়ানী মামলা ২০ হাজার ২৬১ টি ও নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে ৫৬৯২টি। যা ধারণ ক্ষমতার ১০ গুণের চেয়ে বেশি হবে। উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, পার্শ্ববর্তী বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে এক জেলায় শুধুমাত্র ২ হাজারের মতো মামলা রয়েছে।’ কক্সবাজারে মামলাজট হওয়ার পিছনের আইনজীবীদের দায়ী করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিচারকদের চেয়ে আইনজীবীদের ভূমিকা অনেক বেশি। কেননা একটি মামলার ভিত্তিমূল হচ্ছে একজন আইনজীবী। তিনি মামলাটি লেখা থেকে শুরু করে সর্বশেষ শুনানী পর্যন্ত দেখভাল করেন। এছাড়া বাদি-বিবাদী দু’পক্ষই আইনজীবীর কাছে আসে। কিন্তু বেশির ভাগ আইনজীবী সহজে মামলা নিষ্পত্তির করতে চান না।’ সিনিয়রদের মধ্যে এ সংখ্যা বেশী বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দেশ ও অসহায় মানুষের স্বার্থে মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আদালতের পাশপাশি আপোষ-মীমাংসার উপর গুরুত্ব দিয়ে জেলা জজ বলেন, ‘একটি মামলা একটি পরিবার থেকে শুরু করে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় পর্যন্ত বিরূপ প্রভাব ফেলে। মানসিক ও আর্থিকভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছে অনেকে। মামলা চালাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছে এ রকম উদাহরণ অহরহ। একটি মামলার কারণে একটি পরিবার-একটি প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে অসহায় মানুষেরা মামলা নিয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাই সব স্বার্থে যথা সম্ভব মামলা নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে স্পর্শকাতর ছাড়া অন্যান্য মামলাগুলো নিষ্পত্তিতে আপোষ-মীমাংসার ভূমিকা অনিস্বীকার্য। আইনজীবীরা চাইলে বাদী-বিবাদীকে বসিয়ে আপোষ-মীমাংসা করতে পারেন। পাশাপাশি জনসচেনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে পারে’
মামলা নিষ্পত্তির জন্য লিগ্যাল এইডের সহায়তা নেয়ার জন্য তাগিদ দেন তিনি। মামলা জট কমাতে বিরোধ নিষ্পত্তির পাশাপাশি মামলায় অহেতুক নিরীহ মানুষকে আসামী না করা, মিচ মামলা না করার উপরও গুরুত্ব দেন তিনি।
উল্লেখ্য, আজ ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে কক্সবাজারে র‌্যালী, রক্তদান কর্মসূচী, আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা কর্মসূচী পালন করা হবে।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।