১৯ অক্টোবর, ২০২৫ | ৩ কার্তিক, ১৪৩২ | ২৬ রবিউস সানি, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

পেকুয়ায় ৯টি তক্ষকসহ ৪ জন আটক

hisham_aiub_1319236810_1-image78394585-300x214

পেকুয়ায় ৯টি তক্ষকসহ(টুট্টেং) ৪ জনকে আটক করা হয়েছে । সোমবার ভোর ৫ টার দিকে শিলখালীর ছড়াপাড়ার জাফর আলমের বাড়ী থেকে আন্ত:বিভাগীয় তক্ষক ব্যবসায়ী চক্রের ৪ সদস্যকে আটকের পর পুলিশের বিরুদ্ধে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে । বলাবলি হচ্ছে ৫জনকে আটক করা হলেও একজনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এবং আটককৃতদের কাছ থেকে ৬০ লাখ টাকা উদ্ধার হলেও পুলিশ জব্ধ তালিকায় কোন টাকাই দেখায়নি । তবে পুলিশের দাবী ৯টি তক্ষক উদ্ধার হলেও কারও কাছ থেকে কোন টাকা পাওয়া যায়নি ।

আটক হওয়া তক্ষক ব্যবসায়ীরা হলেন- চকরিয়ার বরইতলী রাস্তার মাথার বুড়ির দোকান এলাকার এজাহার মিয়ার ছেলে শহীদুল ইসলাম(৩০), বান্দরবান লামা উপজেলাধীন আজিজনগর কালামিয়া পাড়ার আবদুল আজিজের ছেলে ফজলুল হক(২৯), চেয়ারম্যানপাড়ার মৃত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে জাবের হোসেন(৫০) ও লামা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডস্থ মধুরঝিরি এলাকার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেনের ছেলে কামরুজ্জামান(৪৩)।
থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই) হাফেজ খান বলেন, ৪ জনকে আটকের তথ্য ছাড়া আমি আর কিছুই জানিনা ।
অভিযানে নেতৃত্বে দেয়া উপ-পরিদর্শক(এসআই) বিমল কান্তি দেব বলেন, ৯টি তক্ষকসহ ৪জনকে আটক করেছি । তাদের কাছ থেকে টাকা বা অন্য কিছু পায়নি ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিব মুঠোফোনে বলেন, ৫জন নয় ৪জনকে আটক করা হয়েছে । টাকা পাওয়ার গুজবটি প্রপাগান্ডা মাত্র । প্রয়োজনে আটককৃতদের সাথে কথা বলে জেনে নিতে পারেন । তিনি আরো বলেন বাড়ীর মালিক জাফর আলমসহ ৫জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে ।
কক্সবাজার সদর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো.মাসুদ আলম বলেন, আমাকেও জানানো হয়েছে ৯টি তক্ষকসহ ৪জনকে আটকের খবরটি । কোন টাকার ব্যাপারে বলা হয়নি । ৬০ লাখ টাকা না হোক যাতায়াত বা হাত খরচও কি তাদের কাছে ছিলো কিনা জানতে চাইলে এএসপি মাসুদ আলম আরো বলেন, এ প্রশ্নে আমার খটকা লাগছে । বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি ।
এদিকে স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ছড়াপাড়া জাফর আলমের বাড়িতে বিপুল তক্ষক ও টাকাসহ চট্টগ্রাম-বান্দরবান ও কক্সবাজারের ৭জন উপস্থিত ছিলো । পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গৃহকর্তাসহ ২ জন পালিয়ে গেলেও ৫জনকে আটক করে পুলিশ । তাদের কাছ থেকে তক্ষক ছাড়াও বিপুল পরিমাণ টাকা উদ্ধার হয় ।পরে জব্ধ তালিকায় টাকা ও আটককৃতদের মধ্যে একজনকে রহস্যজনক কারণে বাদ দেয়া হয় ।যদিও লুকোচুরির ঘটনাটি পুলিশ একেবারেই অস্বীকার করছে ।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।