৪ মে, ২০২৪ | ২১ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৪ শাওয়াল, ১৪৪৫


শিরোনাম
  ●  নিরাপদ নুরুল আবছারকেই পছন্দ ভোটারদের   ●  আদালতে তিন মামলারই জবানবন্দি দিলেন অস্ত্র সহ গ্রেফতার সিরাজ   ●  টেকনাফে অপহরণ চক্রের সদস্য অস্ত্রসহ গ্রেফতার   ●  উপজেলা চেয়ারম্যান শফিউল্লাহর প্রার্থীতা বাতিলে হাইকোর্টে রিট   ●  প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-এর ৩০ বছরের পথচলা ও সাফল্য উদযাপন   ●  কক্সবাজার পৌরসভায় ৩ টি প্রকল্প বাস্তবায়নের পরিকল্পনা   ●  কুতুবদিয়ায় সুপারডাইকে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও পারাপারে ফেরী সার্ভিস চালুর দাবী   ●  ‘সবাইকে ভালোর দিকে ছুটতে  হবে, খারাপের দিকে নয়’   ●  বিজয়ী হয়ে অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন নজির আহাম্মদ   ●  চকরিয়ায় সাবেক সাংসদের উপস্থিতিতে সাংবাদিকের উপর হামলা

পেকুয়ার আলোচিত জয়নাল হত্যা মামলা অবশেষে গ্রেপ্তার রিপন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মগনামার আলোচিত জয়নাল আবেদীন হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সোলতান মোহাম্মদ রিপনকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইডি)। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে পেকুয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। রিপন মহুরীপাড়া এলাকার মৃত মাহবুবুর রহমানের ছেলে।

গতকাল বুধবার দুপুরে তাকে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

সিআইডি সূত্র জানায়, ২০২১ সালের ২ মে রাত সাড়ে আটটার দিকে কিছু দুর্বৃত্ত কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে জয়নালকে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আমিরুজ্জামান ৩২জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পেকুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হেবজুর রহমান দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৩২ আসামির মধ্যে ২২জনের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ১০ জনকে মামলা থেকে তদন্ত কর্মকর্তা অব্যহতির সুপারিশ করেন।

আদালতে দায়ের করা অভিযোগপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, আসামি মাহমুদুল করিম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে তিনি বলেন, সোলতান মোহাম্মদ রিপন জয়নালকে কুপিয়ে মারে এবং জয়নালকে হত্যার পূর্বে মগনামা ঈদগা মাঠে ষড়যন্ত্র বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বর্তমানে আদালতের নির্দেশে কক্সবাজারের সিআইডির পুলিশ কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম মামলাটির তদন্ত করছেন। তদন্ত চলাকালে ২৫ জুলাই বিকেলে তিনি মামলার আট নম্বর আসামি সোলতান মোহাম্মদ রিপনকে গ্রেপ্তার করেন।

মামলার বাদি আমিরুজ্জামান বলেন, সোলতান মোহাম্মদ রিপন মামলা থেকে বাঁচতে লাখ লাখ টাকা খরচ করে ইউনিয়ন আওযামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। সাধারণ সম্পাদক হয়েই তিনি মোটা অংকের টাকা নিয়ে মামলা থেকে বাঁচার চেষ্টা করে। কিন্তু সিআইডির সাহসী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের দৃঢ় মনোভাবের কারনে টাকা দিয়েও মিশন বাস্তবায়ন করতে পারেননি তিনি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।