২২ জুন, ২০২৫ | ৮ আষাঢ়, ১৪৩২ | ২৫ জিলহজ, ১৪৪৬


শিরোনাম
  ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা   ●  উখিয়ার প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী ফরিদ আহম্মদ চৌধুরীর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী আজ

পুলিশের পোষাকের আড়ালে তাঁর মানবিকতার বিচরণ

বিশেষ প্রতিবেদক :
খোকন কান্তি রুদ্র। পেশায় পুলিশ। দায়িত্ব পালন করছেন রামু থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক হিসেবে। বার আউলিয়ার আবাস বলে খ্যাত চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বড়হাতিয়ার সন্তান খোকন। তার গায়ে দেশ সেবায় কঠোরতার পোশাক থাকলেও এর ভেতরকার রক্ত মাংসের কায়ায় রয়েছে মানবিকতার বিচরণ।
নানা অনৈতিক কর্মে সবখানে পুলিশের বিরুদ্ধে অপবাদের শেষ নেই। এতসবের মাঝে নিজের মানবিক আচরণে সেবার মহিমা ছড়িয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে সবই নিরবে, সবার অগোচরে।
নিত্যদিনকার সেবা কর্মের একটি বৃহস্পতিবার রাতে হঠাৎ কৌতুহলী এক সাধারণ মানুষের ক্যামেরা বন্দি হয়। কিছু অভুক্ত পথশিশুকে সাথে নিয়ে রাতের খাবার খাচ্ছেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। ছবিটি দেখে খোঁজ নেয়া হয় ঘটনার পেছনের খবরের।
জানাযায়, বৃহস্পতিবার সারাদিনের কাজ সেরে সন্ধ্যায় আরেকটি কাজে গিয়েছিলেন কক্সবাজার শহরে। কাজ সেরে কর্ম স্টেশন ফেরার পথে খেতে যাচ্ছিলেন এক রেস্তোরায়। এমন সময় একদল পথশিশু এসে বললেন, মামা দুপুর থেকে কিছুই খাইনি। খুব ক্ষিধে পেয়েছে।
এদিকে, দুপুরে খেয়েও রাতের এসময়ে নিজেও চরম ক্ষুধার্থ হওয়ায় পথশিশুদের অভুক্ততার যন্ত্রণা অনুধাবন করছিলেন তিনি। এ কারণে-নিজের টেবিলে একসাথে বসিয়ে পছন্দসই খাবার খাইয়ে পথশিশুদের ক্ষুধা মেটালেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে আরো জানাযায়, এটি তার স্বভাবজাত। মানুষের দু:খে তার ছুটে যাওয়ার স্বভাবটা ছোট বেলারই অভ্যাস। যার ধারাবাহিকতায় মহেশখালীতে দায়িত্ব পালনকালে ঘূর্ণিঝড় মোড়ার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্থদের নিজের সাধ্যমতো সহায়তা করেছিলেন তিনি। এটিও ছিল সবার অগোচরে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে খোকন কান্তি রুদ্র বলেন, এটি আর এমন কি? সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ হিসেবে জন্ম নিয়েছি তাই মানবতায় তো আমাদের মূল কর্ম ও ধর্ম হওয়া বাঞ্চনীয়। তাছাড়া দেশ সেবার যে শপথে পুলিশের পোষাক গায়ে নিয়েছি তা দিয়ে চাইলে সাধারণ মানুষে অহরহ সেবা করা যায়। শুধু মানসিকতা দরকার। টাকা সব প্রাপ্তির সমান নয়। হৃদয়ের প্রশান্তি আকাশের মত বিশাল আর সমুদ্রের মতো গভীর। যারা এটির স্বাদ একবার পেয়েছেন তারা বার বার পেতে চাইবেন। তাছাড়া সরকার যে বেতন ভাতা ও সুযোগ সুবিধা দিচ্ছেন তাতে আমজনতার হক রয়েছে। ধর্মীয় ভাবে বলতে গেলে পাড়া-প্রতিবেশীও আমার কাছ থেকে কিছু পাওয়ার অধিকার রাখেন। সেই বোধ থেকেই চারপাশের মানুষগুলোর জন্য যথা সম্ভব কিছু করার চেষ্টা করি। এটা নিজের কাছে দায়িত্ব মনে হয় বিধায় বড় বলে মনে হয় না। আমরা অনেকে এটা এড়িয়ে চলি বলে হঠাৎ কোথাও দেখলে আশ্চর্য বলে জ্ঞান করি। আমার দৃষ্টিতে সবারই উচিত ডানে-বামে অসুবিধায় থাকা মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে সাহস ও সহানুভূতি জানানো।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।