কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক কাজি আবদুর রহমান বলেছেন, কক্সবাজার শহরের লাইটহাউস, সৈকতপাড়া, বাদশাঘোনা, ফাতেরঘোনা, বাঘঘোনাসহ অন্যান্য পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করা লোকজনকে পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করা হবে না। তবে পাহাড়ের খাদে ঝুঁকিপুর্ণভাবে বসবাসকারী লোকজনকে অতিদ্রত সরিয়ে নেয়া হবে। বৃহস্পতিবার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করা শত শত নারী-পুরুষের উদ্দেশ্যে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক এ কথা বলেন।
এসময় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক বলেন, ‘কক্সবাজার শহরের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে অনেক লোক বসবাস করছে। এসব লোকজন ঝুঁকি নিয়েই সেখানে বসবাস করছে। এভাবে বসবাস করা যাবে না। তাদেরকে অবশ্যই সরে যেতে হবে। তাদেরকে উচ্ছেদের আগে পুর্নবসান করা হবে। তবে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের অতিদ্রুত সরে যেতে।’
মানববন্ধনকারী নারী-পুরুষের উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। পরে তিনি মাইকে ঘোষণা দিয়ে মানববন্ধনকারী নারী-পুরুষের উদ্দেশ্যে এই ঘোষণা দেন।
এসময় মুজিব চেয়ারম্যান আরো বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের নেত্রী। তিনি গরীব-দু:খী মেহনতি মানুষের নেত্রী। তিনি সব মানুষের অন্ন, বস্ত্র ও বাসস্থানের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আপনাদেরও পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করা হবে না। এই জন্য যা যা করা দরকার আমি আপনাদের পাশে থাকবো।’
মানববন্ধনে কক্সবাজার শহরের লাইটহাউস, সৈকতপাড়া, বাদশাঘোনা, ফাতেরঘোনা, বাঘঘোনাসহ অন্যান্য পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করা শত শত নারী-পুরুষ অংশ নেন। তারা উচ্ছেদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের শ্লোগান দেন। এতে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক আহামদ শামীম এবং পৌর আওয়ামী লীগ নেতা নজরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার শহরের সব পাহাড়ি এলাকায় বসবাস করা লোকজনের সরে যেতে আগামী ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তর। এরই মধ্যে সরে না গেলে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করবে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।