২৯ অক্টোবর, ২০২৫ | ১৩ কার্তিক, ১৪৩২ | ৬ জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  ভূমিদস্যু ও সন্ত্রাসীদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীন পরিবার, চার সন্তান স্কুলে যাওয়া বন্ধ   ●  রামুতে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা রিজনের নেতৃত্বে এক ব্যক্তির দোকান দখলের অভিযোগ, চাঁদাবাজি মামলায় জিটু কারাগারে   ●  গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ঢুকে হুমকি অভিযোগ ৪ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে   ●  কক্সবাজার পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্কিলস অ্যান্ড ইনোভেশন কম্পিটিশন অনুষ্ঠিত   ●  আলোচিত ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে লুটপাট, পরে রফাদফা!   ●  দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ   ●  কক্সবাজারে ভূমি নিবন্ধনে আকাশচুম্বী বর্ধিত উৎসেকর বাতিল, প্রসংশায় পঞ্চমুখ সালাহউদ্দিন আহমদ   ●  হলদিয়ায় ইমরানের ২০ হাজার ইয়াবা নিয়ে উধাও ৩ যুবক   ●  দুর্ধর্ষ প্রতারক দিদারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি   ●  ইয়াবাসহ পুলিশে সোপর্দ, চোর সন্দেহে চালান, এলাকায় ক্ষোভ

পাহাড়ে সম্ভাবনাময় ড্রাগন ফল

কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্তের টিভি রিলে কেন্দ্রের পাশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে গড়ে উঠেছে সম্ভাবনাময় বিরল প্রজাতের ড্রাগন ফলের চাষ। খেতে সু-স্বাদু পুষ্ঠিকর এ ফল চাষ সফল হলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে ড্রাগন ফল বিদেশে রপ্তানী করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন কৃষিবিদরা। রিয়েন্ট বিজনেস কসসোডিয়াম নামের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এ দুর্লভ চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন।

সরেজমিনে ড্রাগল ফলের বাগান ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সমন্বিত মান সম্পন্ন উদ্যান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আইসোলেটর কর্মসূচির উদ্যোগে ২০১৪সালের জুলাই মাসে উখিয়ার কুতুপালংস্থ টিভি রিলে কেন্দ্রের অদূরে পরীক্ষামূলক এ ড্রাগন চাষ শুরু করে। এটি চাষ খুব ব্যয় বহুল। পুরো চট্টগ্রামে এই প্রথম ড্রাগন ফল চাষ হয়েছে উখিয়ার সীমান্তে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ড্রাগন ফলের গাছটি লতা জাতীয়, এর কোনো পাতা নেই, এ ফলটির উৎপত্তিস্থল সেন্ট্রাল আমেরিকা। ড্রাগন গাছে ফুল ফোটে রাতে, দেখতে অনেকটা নাইট কুইন ফুলের মতো লম্বাটে সাদা ও হলুদ। ড্রাগন ফুলকে রাতের রাণী নামে অভিহিত করা হয়। কৃষি বিভাগ আরো জানান, ১২ থেকে ১৮ মাসের একটি ফল গাছ থেকে ২০ কেজি ফল পাওয়া যায়। ৩ বছর পূর্ণ হলে প্রতি গাছ থেকে ১শ’ কেজি ফল পাওয়া সম্ভব। এই ফল দেশে প্রতি কেজি এক থেকে দেড় হাজার টাকা বিক্রি হয়।

রিয়েন্ট বিজনেস কসসোডিয়াম প্রতিষ্ঠানের ড্রাগন ফল চাষী হাসান জাহিদ চৌধুরী বলেন, এ ফল গাছের চারাগুলো শরিয়তপুর থেকে সংগ্রহ করা হয়। মুলত এ ফলের চারাগুলো তারা থাইল্যান্ড থেকে আমদানী করেছে। কৃষি অধিদপ্তরের আইসোলেটর উদ্যানের সহযোগিতায় উখিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চল কুতুপালংয়ের অদূরে পাহাড়ী ৫ একর জায়গা ড্রাগন চাষ শুরু করি। প্রথমে  ৫০টি চারা পরীক্ষামূলক রোপন করে সফল হওয়ায় তা বাণিজ্যিক আকারে গড়ে তোলা হয়েছে। আধুনিক ও প্রযুক্তির ব্যবহার এবং নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে বর্তমানে সহস্রাধিক ড্রাগনের চারা রোপন করা হয়েছে। এই গাছ সুষ্ঠুভাবে বেড়ে উঠলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে ১০ হাজার কেজি ড্রাগন ফল উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

কৃষি গবেষক ড. জামাল উদ্দিন বলেন, ড্রাগন চাষ অত্যান্ত ব্যয় বহুল। এ চাষ করা খুবই বিরল। পাহাড়ী এবং উচু জায়গা ড্রাগন চাষের উপযোগী। বিশ্বে ড্রাগন ফলের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সাধারণত ডায়াবেটিস রোগ নিবারণে ড্রাগন ফল বেশ উপকারী। এতে ভিটামিন সি’র পরিমাণ খুবই বেশি।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।