৮ জুলাই, ২০২৫ | ২৪ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১২ মহর্‌রম, ১৪৪৭


শিরোনাম
  ●  আজ রিমান্ডে পেকুয়া নেওয়া হচ্ছে জাফর আলমকে, নিরাপত্তার শঙ্কা!   ●  কক্সবাজারে ঝটিকা মিছিলে ঘুম ভাঙলো পুলিশের, গ্রেফতার ৫৫   ●  হাসিঘর ফাউন্ডেশন উখিয়া শাখার নবগঠিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন   ●  উৎসবমুখর পরিবেশে সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র নির্বাচন সম্পন্ন   ●  যুক্তরাষ্ট্রের জুরি বোর্ডের সদস্য হলেন চৌধুরী কন্যা স্বর্ণা   ●  ভিজিএফ চালের অনিয়ম’ নিয়ে সংবাদ – চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা   ●  শিক্ষার ফেরিওয়ালা মরহুম জালাল আহমদ চৌধুরীর ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ   ●  বিয়ের তিন মাসেই সড়কে প্রাণ গেল হলদিয়ার জুনাইদের   ●  চুনোপুঁটি ধরলেও অধরা রাঘববোয়ালরা   ●  তরুণ সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ সোহরাব হোসেন ডলার: এক প্রতিশ্রুতিশীল পথচলা

পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি প্রতিরোধে সোচ্চার হতে হবে-জেলা প্রশাসক

Cox Poribes Pic 05-

৫ জুন। বিশ্ব পরিবেশ দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘শত কোটি জনের অপার স্বপ্ন, একটি বিশ্ব, করি না নি:স্ব’। প্রতিপাদ্যের গুরুত্ব এবং পরিবেশের তাৎপর্য নিয়ে কক্সবাজার স্বাংস্কৃতিক কেন্দ্রে ৫ জুন সকাল সাড়ে ৯টায় অনুুষ্ঠিত হয় “বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০১৫” শীর্ষক এক আলোচনা সভা। কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ড. অনুপম সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিমুল্লাহ, কক্সবাজার বন বিভাগ উত্তরের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শাহ ই আলম, দক্ষিনের আলী কবির প্রমুখ। র‌্যালী শেষে সকালে ক্রেল প্রকল্পের রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর শফিকুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম। এর আগে সকাল ৯ টায় জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে স্বাংস্কৃতিক কেন্দ্র থেকে একটি বিশাল র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে পুনরায় স্বাংস্কৃতিক কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন বলেন, কক্সবাজারে মানুষের বসবাস উপযোগী একমাত্র গ্রহ ও পৃথিবীর পরিবেশ সংরক্ষণ এবং এর দূষণমুক্ত রাখতে জেলাব্যাপী ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। জেলা শহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ উপকূলীয় অঞ্চল ও তৎসংলগ্ন দ্বীপসমূহে বসবাস করে। বিগত কয়েক বছরে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে উপকূলের একটি বিরাট অংশ ও দ্বীপসমূহ সমুদ্রের পানিতে সম্পূর্ণভাবে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনায় রয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের দিক দিয়ে বাংলাদেশের মধ্যে কক্সবাজার অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে চিহ্নিত। ,“মানুষের বিলাসী জীবন-যাপনই আমাদের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাহাড়কাটা, অনিয়ন্ত্রিত ও অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং অধিক মাত্রায় কার্বন নি:সরনের ফলে ভৌগলিক তাপমাত্রা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাপমাত্রা বৃদ্ধি কমানোর একমাত্র উপায় হচ্ছে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে এর প্রভাব কমাতে পারবে। আর এর প্রভাব পড়ছে সমুদ্রে ও পরিবেশে। পৃথিবীর সমুদ্র পৃষ্ঠের উচ্চতা ক্রমাগত বৃদ্ধির ফলে উপকূলীয় অঞ্চলসমূহ আগামী কয়েক বছরের মধ্যে তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পৃথিবীর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আমাদের যে যার অবস্থান থেকে সোচ্চার হতে হবে।” এ ক্ষেত্রে সমাজের শিক্ষিত মহল, সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, সুধী সমাজ, সাংবাদিকসহ সর্বস্তরের মানুষকে সচেতনতা বৃদ্ধি করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। সভায় অন্যন্য আলোচকবৃন্দ আরো বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুখী ও সমৃদ্ধ এবং বাসযোগ্য কক্সবাজার নির্মাণের জন্য আমাদের সকলকেই একসাথে কাজ করতে হবে। আমাদের সোচ্চার হতে হবে আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে। এখানে উল্লেখ্য, মানব উন্নয়নে অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং পরিবেশ সংরক্ষণে কক্সবাজারের স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন, তারকামানের বিভিন্ন হোটেল ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। পরিশেষে কক্সবাজার শহরের ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিবেশ সংক্রান্ত প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরন করা হয়। র‌্যালী ও আলোচনা সভায় কক্সবাজারের তারকামানের হোটেল ওশান প্যারাডাইস, হোটেল সী-ওয়ার্ল্ডসহ বিভিন্ন এনজিও ও পরিবেশ সংস্থা অংশ গ্রহন করেন।

এই ওয়েব সাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।